Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঐতিহ্যের মাছের মেলা

এস এম উমেদ আলী, মৌলভীবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

এ অঞ্চলের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন বছর ঘুরে কখন মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হবে। তাই আগে থেকে প্রস্তুত থাকেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। মৌলভীবাজার, সিলেট ও হবিগঞ্জের সীমানা ঘেষে জেলার শেরপুর এলাকায় বসে প্রতি বছর মাছের মেলা।
গত সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া ৩ দিন ব্যাপী এই মেলা শেষ হবে বুধবার। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী ৩ দিন ব্যাপী মাছের মেলা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মৌলভীবাজার জেলার শেরপুর এলাকায় কুশিয়ারা নদীর পাড়ে শুরু হয়েছে। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেও মেলা জুড়ে ছিল ক্রেতা বিক্রেতা আর কৌতুহলী মানুষের ঢল। প্রায় দুইশত বছর পূর্ব থেকে চলে আসা মেলায় হাওর ও নদীতে স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠা দেশীয় প্রজাতির টাটকা মাছ কিনতে ক্রেতারা ও পাইকাররা ভিড় জমান। মৌলভীবাজারের শেরপুরের মাছের মেলা ঘুরে দেখা গেছে, একটি কাতলা মাছের দাম হাকা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার, আইড় ১ লাখ ৩৫ হাজার। বোয়াল ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর একটি আড়ই মাছ বিক্রি হয়েছে ৭৫ হাজার টাকায়। মাছ ব্যবসায়ী আমীর আলী ও রমিজ উদ্দিন জানান, ঐতিহ্য ধরে রাখতে বছর জুড়ে তারা মাছ সংগ্রহে রাখেন। হাওর ও নদীতে স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠা মাছ সাধারণত নিয়ে আসেন এই মেলায়। তবে এ বছর মেলা উপলক্ষে মাছের সংগ্রহ বেশি থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি অনেকটা কম। মেলায় কুশিয়ারা নদী, হাকালুকি হাওর, কাওয়াদিঘি হাওর, হাইল হাওর ও সুনামগঞ্জের টাঙুগুয়ার হাওরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা রুই, কাতলা, বোয়াল, গজার, বাঘাইড় ও আইড় মাছসহ বিশাল আকৃতির মাছ নিয়ে আসেন মোলায়।
মেলা অয়োজক কমিমিটি সভাপতি মো. আশরাফ আলী খান জানান, গত ৫ বছর ধরে জুয়াসহ যাত্রা ও পুতুল নাচের নামে অশ্লীলতা বন্ধ হয়ে শুধু মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফিরে পেয়েছে। এছাড়াও প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব সরকারকে তারা দিলেও মেলার জন্য এখনও স্থায়ী কোন স্থান গড়ে উঠেনি। তিনি মেলার স্থায়ী একটি স্থান নির্ধারণের দাবি করেন।
যদিও এটি মাছের মেলা নামে পরিচিত তবুও মাছ ছাড়া ফার্নিচার, গৃহস্থালী সামগ্রী, খেলনা ইমিটেশন, কাপড়, জুতাসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যের দোকান স্থান পায়। বর্তমানে এই মাছের মেলা মিলনমেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ ছাড়াও বাদ যায়নি মুড়ি-মুড়কি আর মন্ডা-মিঠাইসহ মুখরোচক খাবারের আয়োজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাছের মেলা

১৫ জানুয়ারি, ২০২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ