মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত যেখানে এমনিতেই অর্থনৈতিক স্থবিরতার বিরুদ্ধে লড়ছে, সেখানে সরকারের পলিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নীতি আয়োগের সা¤প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, দেশ দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও পিছিয়ে পড়ছে।
নীতি আয়োগ ২০১৯-২০ সালের যে এসডিজি সূচক প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, ভারতে প্রত্যেক পঞ্চম ব্যক্তি দারিদ্রসীমার নিচে বাস করছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র দূর করার লক্ষ্যমাত্রা থেকে দেশ বহু পেছনে পরে আছে।
জাতিসংঘের অনুমোদিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তিতে সরকারের অর্জনের পরিমাপের জন্য এই সূচক তৈরি করে নীতি আয়োগ। এই ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ১৩টি পরিমাপের জন্য তারা ৬২টি সূচক চিহ্নিত করেছে।
২০১৮ সালকে বেজলাইন ইনডেক্স ধরে সরকারের পলিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালের উন্নতির হিসেব করেছে।
ভারতের সার্বিক স্কোর হয়েছে ১০০ এর মধ্যে ৫০, যেটা আগের বছরে ছিল ৫৪। অন্ধ্র প্রদেশ আর সিকিম ছাড়া ভারতের সব রাজ্যেরই একই অবস্থা। সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে অরুণাচল প্রদেশে - ১৮ পয়েন্ট। বিহার আর ওরিষ্যার পতন হয়েছে ১২ পয়েন্ট। গোয়া আর ঝাড়খাÐের কমেছে ৯ পয়েন্ট। ভারতের ২২টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ২০১৯ সালে এই অর্থনৈতিক আঘাতে পড়েছে, যেটা দিয়ে বোঝা গেছে যে দারিদ্রের হার বাড়ছে। তবে, অন্ধ্র প্রদেশ আর সিকিম তাদের স্কোর দুই ও এক পয়েন্ট বাড়িয়েছে।
ক্ষুধা দূর করার সূচকে নীতি আয়োগ দেখতে পেয়েছে যে, এ ক্ষেত্রে সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে ৩৫ এ নেমে এসেছে, ২০১৮ সালে যেটা ছিল ৪৮। ২৪টি রাজ্যে গত বছর সূচকের পতন হয়েছে। এর মধ্যে ছত্তিশগড়ের ১৯ পয়েন্ট কমেছে, মধ্য প্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও কর্নাটকের কমেছে ১৭ পয়েন্ট করে, এবং অন্ধ্র প্রদেশের ১৫ পয়েন্ট কমেছে।
ক্ষুধা পরিস্থিতির উন্নয়নে মাত্র চারটি রাজ্যের অগ্রগতি হয়েছে। এগুলো হলো মিজোরাম, কেরালা, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশ।
নড়বড়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি
ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশে নেমে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। উৎপাদন ও নির্মাণ খাতের দুর্বল অবস্থার এর অন্যতম প্রধান কারণ বলে সরকারের হিসেবে বলা হয়েছে।
ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস জাতীয় আয়ের যে হিসেব করেছে, সেখানে বলা হয়েছে ২০১৯-২০ সালে উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধি ২% হ্রাস পাবে, যেটা গত অর্থবছরে ছিল ৬.৯%। একইভাবে নির্মাণে খাতে প্রবৃদ্ধি ৩.২% হবে বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যেটা ছিল ৮.৭%। এর আগে সর্বনিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির রেকর্ড করা হয় ২০০৮-০৯ সালে, যেটা ছিল ৩.১%। জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই অবস্থার অনুমান করার কারণ হলো প্রথম কোয়ার্টারে প্রবৃদ্ধি ছিল ৫% কিন্তু পরের তিন মাস সময়ে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.৫ শতাংশে। সূত্র : এশিয়া টাইমস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।