মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটিশ রাজপরিবারের ছোটবধূ মেগান মার্কেল তার স্বামী প্রিন্স হ্যারিকে নিয়ে প্রাসাদ ছাড়ার পর বেরিয়ে আসছে নানা দ্ব›েদ্বর খবর। ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, বড়বউ কেট মিডলটনের সঙ্গে মেগানের কথা হয় না ছয় মাস!
ব্রিটিশ রাজপরিবারের পঞ্চম উত্তরসূরি প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান সেই বড়দিন থেকে কানাডায় ছিলেন। সেখান থেকে ফিরে গত বুধবার হঠাৎই রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্যের খেতাব ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স। রাজপরিবারের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে সাধারণ মানুষের মতো আয় করার কথা জানান তারা।
কিন্তু উত্তরাধিকার স‚ত্রে প্রাপ্ত হ্যারির যে সম্পত্তি রয়েছে, তা নিয়েই এখন হিসাবনিকাশ শুরু হয়েছে রাজবাড়িতে। মূলত সম্পত্তি নিয়ে কথা বলতেই হ্যারি এখনও ব্রিটেনে রয়ে গিয়েছেন। হ্যারির স্ত্রী মেগান ফিরে গেছেন কানাডায়। সেখানে ছেলে শিশুর সঙ্গে সময় কাটাবেন তিনি। রাজপরিবার ঘনিষ্ঠকে উদ্ধৃত করে গতকাল এই দাবি করেছে একটি প্রথম সারির এক ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড।
এক সময় অভিনয় পেশায় থাকা মেগানকে বিয়ের পর পরিবারের সঙ্গে হ্যারির সম্পর্ক অবনতি হয়। রানিসহ ভাই প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেটের সঙ্গে কিছুতেই পড়ছিল না দুজনের। এমন আলোচনার ভেতর গত গ্রীষ্মে উইন্ডশোরের ফ্রগমোর কটেজে চলে যান তারা। রানি এই সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজছেন।
তিনি একটি মিটিং ডেকেছেন। ৩৮ বছর বয়সী মেগান কানাডা থেকে ভিডিও কলে আলোচনায় অংশ নিতে পারেন। দ্য সানডে পিপল জানিয়েছে, রাজপরিবারের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ গ্রুপ থেকে মাস ছয়েক আগে লিভ নেন মেগান। তখন থেকেই কেটের সঙ্গে মুখ দেখাদেখি বন্ধ!
এদিকে, রাজবাড়ির কর্মচারীদের জরুরি তলব পাঠিয়েছেন ব্রিটিশ রানি। দিনরাত এক করে সেই কর্মীরা এখন ব্যস্ত বিপুল সম্পত্তির হিসাব-নিকাশ নিয়ে। ব্রিটেনের প্রয়াত যুবরানি ডায়নার ছোট ছেলে, রাজকুমার হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানের বিষয়টি নাকি তিন দিনের মধ্যে সমাধান করতে চান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
নাতির এই সিদ্ধান্তে যে রানি খুশি নন, তা জানিয়েছেন রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ এক সহযোগী। তবে হ্যারি ও মেগানের ঘনিষ্ঠ এক সাংবাদিক আবার দাবি করেছেন, রাজপরিবারের চাপেই এই খেতাব ত্যাগ করতে বাধ্য হন হ্যারিরা। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তিনি বলেন, ‘হ্যারি-মেগানের এই সিদ্ধান্ত খুবই দুঃখজনক।’ রানির জন্য তার কষ্ট হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন।
এরই মধ্যে ডিজনির একটি কাজে সম্প্রতি কন্ঠ দিয়েছেন মেগান। সেখান থেকে আসা অর্থ মূলত হাতিদের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে খবর। তবে মেগান যে অভিনয় জগতেই আবার ফিরছেন, এই খবর থেকে তারই ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি করেছেন অনেকে। সূত্র : দ্য ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।