পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমপিরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। প্রচারণা ছাড়াও সংসদ সদস্যরা নির্বাচন সমন্বয়ের কাজও করতে পারবেন না।
গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি ওই কথা বলেন। এর আগে আওয়ামী লীগের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সিইসি ও কমিশনারদের বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, কোনো সংসদ সদস্য নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি তারা নির্বাচনী কার্যক্রমেও থাকতে পারবেন না। নির্বাচন সমন্বয়ও করতে পারবেন না। নূরুল হুদা বলেন, আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ ঢাকার ২ সিটিতে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কিন্তু নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে পারবেন।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের দুই সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমু সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আওয়ামী লীগ কী দায়িত্ব দিয়েছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে ইসি জানে না। এ ব্যাপারে ইসি অবহিত হলে নিষেধ করা হবে। সিইসি বলেন, আচরণবিধি অনুসারে, নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে বাধা রয়েছে এমন ব্যক্তিরা প্রার্থীর পক্ষে কথা বলতে পারবেন না। ভোট চাইতে পারবেন না। তবে তারা মুজিববর্ষের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন।
ইসির সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন দলের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
সিইসির আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় তোফায়েল আহমেদের। তিনি জানান, নির্বাচনী আচরণবিধির ব্যাখ্যা জানতে তারা এসেছিলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী সমন্বয়কারী হিসেবে সংসদ সদস্যদের কার্যালয়ে বসে পরিকল্পনা করতে বাধা নেই। তবে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়া যাবে না। সমন্বয়কারীরা ভোট চাওয়া ছাড়া অন্য সবকিছু করতে পারবেন। তারা কর্মীদের দিক-নির্দেশনা দিতে পারবেন।
তিনি জানান, বৈঠকে ইসি মাহবুব তালুকদার ছাড়া বাকি কমিশনাররা একমত হয়েছেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। ইসির পক্ষ থেকে সিইসি, কমিশনার মাহবুব তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম ও বেগম কবিতা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ভোট হবে। এবারই প্রথম দুই সিটিতে ইভিএম (ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোট হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।