Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এমপিরা ভোট চাওয়া ছাড়া সবই পারবে

সাংবাদিকদের তোফায়েল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পর আওয়ামী লীগের নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ঢাকা সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া ছাড়া সবই করতে পারবেন সংসদ সদস্যরা।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় সুবিধাপ্রাপ্ত ও গুরুত্বপ‚র্ণ প্রার্থীদের প্রচারে বাধা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসার মধ্যে গতকাল শনিবার ইসিতে যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।

উত্তর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান সমন্বয়ক তোফায়েল আহম্মেদর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বৈঠক করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম ন‚রুল হুদা ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে। বৈঠক শেষে তোফায়েল সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী বিধিমালার অসঙ্গতি তারা তুলে ধরেছেন ইসির কাছে। আর এতে মাহবুব তালুকদার ছাড়া অন্য নির্বাচন কমিশনাররা একমতও পোষণ করেছেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন,আমরা এমপিরা পথসভায় যাবে না, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্যাম্পেইন করব না। কিন্তু আমাদের যে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমরা তো ঘরোয়াভাবে মিটিং করতে পারব। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো ক্যাম্পেইনে যেতে পারব না, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। তারা অনুরোধ করেছেন, এমপিদের ভোট না চাইতে। ভোট চাওয়া ছাড়া আমরা সব করব।

নির্বাচনী আচরণবিধিতে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপ‚র্ণ ব্যক্তি হিসেবে সংসদ সদস্যদেরও স্থানীয় নির্বাচনে প্রচারে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এনিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলছেন, এতে বিএনপির গুরুত্বপ‚র্ণ নেতারা প্রচারে নামতে পারলেও আওয়ামী লীগ নেতারা পারছেন না।

তোফায়েল বলেন, এই বিষয়টিআমরা তুলে ধরেছি, জাতীয় সংসদ সদস্যরা কিন্তু সুবিধাভোগী না। সুবিধাভোগী হলো অফিস অফ প্রফিট যেটা আমরা এমপিরা পাই না। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, হুইপ, স্পিকাররা পায়। অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির যে বিষয়টি আমাদের শেখ সেলিম, হানিফ, তারা গুরুত্বপ‚র্ণ ব্যক্তি। আবার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর, তারা সবাই কিন্তু মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, তারাও কিন্তু গুরুত্বপ‚র্ণ ব্যক্তি।
প্রবীণ এই সদস্য বলেন, তারা (ইসি) স্বীকার করেছে যে আসলে সংজ্ঞা মধ্যে স্ববিরোধিতা রয়েছে। মাহবুব তালুকদার সাহেব সেদিন যে কথা বলেছিলেন, আজকেও বলেছেন, আমি আমার অফিস বা ঘরে বসেও নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলতে পারব না। উনি ছাড়া সবাই একমত হয়েছেন, এটা বাস্তবসম্মত নয়।

তবে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে দায়িত্বশীল আচরণের অংশ হিসেবে ইসির বিধিমালা অনুসরণের প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল। তোফায়েল বলেন, এখন যদি কিছু করি সরকারের জন্য মানুষের চোখে ভালো হবে না, তাদের (ইসি) চোখেও এটি ভালো হবে না। আমরা ঘরোয়াভাবে অফিসে বসে বা মহল্লায় গিয়ে কোনো বাসায় বসে মিটিং করতে পারব, এগুলোতে কোনো বাধা নেই। তাদের অনুরোধ, আমরা যারা এমপি তারা যেন ভোট না চাই। গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে, এ ব্যাপারে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। যেহেতু আমরা ক্ষমতাসীন দল আমরা এমন কোনো কাজ করব না, যাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

আলোচনার অন্য বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, কারেও নামে ওয়ারেন্ট থাকলে আইপ্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নেবে, এতে কিছু করার নেই। সোশাল মিডিয়ায় যে অপপ্রচার করে, এটা তারা বন্ধ করার উদ্যোগ নেবে। ইভিএম সম্পর্কে আমরা বলেছি, এটি সস্পূর্ণ আপনাদের (ইসি) এখতিয়ার। বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, তাদের প্রার্থী ও কর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি করা হচ্ছে। ইভিএম নিয়েও আপত্তি রয়েছে তাদের।
ইসির সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, উত্তর সিটির মিডিয়া সেলের সদস্য জয়দেব নন্দী।
সিইসির সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাওয়া ছাড়া সবই পারবে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ