পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর এবার ভারত সফর বাতিল করলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আগামীকাল থেকে দু’দিনব্যাপী ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন রাইসিনা সংলাপে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন।
ভারতের নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বিতর্ক তৈরির পর এ নিয়ে বাংলাদেশের তিন মন্ত্রীর দিল্লি সফর বাতিল হলো। এসব সফর বাতিল নিয়ে মুখ খোলেনি সরকার। অভ্যন্তরীণ ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে সফরগুলো বাতিলের কথা জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিলের কারণ সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গতকাল বলেন, প্রতিমন্ত্রী ভারতে যাচ্ছেন না। তিনি আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাবেন।
উল্লেখ্য, চার দিনের সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরেই মধ্যপ্রাচ্যের দূতদের আগামী দিনের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দিতে আগামীকাল দূত সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।
গত বছরের ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সাপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে এম আবদুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ভারত সফর বাতিল হয়। এর এক সপ্তাহ পরই দুই দেশের নদী কমিশনের বৈঠকও বাতিল হয়।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি নিয়ে দুই দেশের মধ্যেও একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ আনেন। একই সঙ্গে তিনি আসামের এনআরসিতে অন্তর্ভূক্ত না হওয়া মুসলিমদের বাংলাদেশে পাঠানোর হুমকি দেন। ঢাকা রাখঢাক না করেই নিজেদের ক্ষোভ ভারতকে জানিয়ে আসছে। পর পর কয়েকজন মন্ত্রী এবং প্রতিনিধি পর্যায়ের ভারত সফরের কর্মসূচি বাতিলই তার প্রমাণ। অমিত শাহার এসব বক্তব্যে অবশ্য ভারতের বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিকরাও কঠোর সমালোচনা করেন।
অবশ্য অমিত শাহের মন্তব্যে বিতর্ক সৃষ্টির পরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা হয় যে, বিগত সরকার ও সামরিক শাসনের অপব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ওই মন্তব্য করেন। সে বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।