‘ওয়ান ইলেভেনে লাভবান হয়েছে আওয়ামী লীগ। আমার কাছে আবার এই বিষয়টি ভালো লাগে। কারণ তারা বিষয়টি স্বীকার করে বলেন ওয়ান ইলেভেনের সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। সুতরাং তাদের মধ্যে ১/১১’র যে ভূত চেপেছে সেটি থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। আজকে যারা ক্ষমতায় আছে তারা ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতা দখল করে আছে। যার ফলে ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন ২০১৮ সালে মধ্যরাতের নির্বাচন হয়েছে।’- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেছেন।

আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের ‘এক-এগারোর প্রেক্ষাপট : আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, আগে আলোচনা হতো নির্বাচনে কে জিতবে কে হারবে। এখন সেটি আলোচনা হয় না। আলোচনা হয় এই সিটটি ওরা দেবে, না ওরা নিয়ে নিবে। ঢাকা দুই সিটির নির্বাচনে ওরা কি দুটোই নিয়ে নেবে নাকি একটি বিএনপিকে দিবে এইগুলো এখন জনগণ আলোচনা করে। আর এটার জন্য ইভিএম হচ্ছে তাদের মোক্ষম একটি অস্ত্র।

এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই ইভিএম যদি আপনারা বন্ধ করতে না পারেন তাহলে ভোটাধিকার চিরতরে হারাতে বাধ্য হবেন। মধ্যরাতের নির্বাচনে ব্যালট চুরির মাধ্যমে যে নির্বাচন হয়েছে সেটি কিন্তু বিশ্ববাসীর দেখেছে। সুতরাং এখন আর ব্যালট বাক্স ভর্তি করে কারচুপি করে নির্বাচন করার সুযোগ নাই।

জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালাউদ্দিন খান পিপিএমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, অধ্যাপিকা ফাতেমা সালাম, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।