পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
তৈরি পোশাক খাতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম বা গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্যের পোশাক প্রস্তুতকারকদের কাছে তুলে ধরতে দশমবারের মতো গার্মেন্ট এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং এক্সপজিশন (গ্যাপেক্সপো)-২০২০ শুরু হচ্ছে আগামী ১৫ জানুয়ারি। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত চার দিনব্যাপী এ আয়োজন চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এবারের আয়োজনে ২০টি দেশের ২৭০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো- বাংলাদেশসহ ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মালায়েশিয়া, ইন্দোনিশেয়া, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, ও ইতালি। এতে দেশী-বিদেশী রিসোর্স পারসনরা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
গার্মেন্টক ও গ্যাপেক্সপো প্রদর্শনীতে পোশাক খাতের সরঞ্জাম ও মোড়কীকরণ সামগ্রী তৈরির যন্ত্র, সেলাই মেশিন, এমব্রয়ডারি, ডাইং, প্রিন্টিং কাটিং, ক্যাড-ক্যাম, স্প্রেডিং যন্ত্র প্রদর্শন করবে প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিজিএপিএমইএ’র সভাপতি আব্দুল কাদের খান বলেন, তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানিতে গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্যের অবদান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দেশীয় উদ্যোক্তারা গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্যের ৯৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
উদ্যোক্তাদের অদম্য সাহস আর পরিশ্রমের কারণে আমরা সরাসরি গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য রফতানি করছি। সরকারী সহায়তা পেলে এ শিল্প রপ্তানীতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেতে পারবে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারের আয়োজনে সর্বশেষ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা হবে। পণ্যের পাশাপাশি আধুনিক মেশিন ও যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করা হবে। এর মাধ্যমে এ খাতের ব্যবসায়ীরা সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারনা নিতে পারবে। এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে পণ্য প্রস্তুতকারক ও ক্রেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হবে, যা এ শিল্পকে নতুন মাত্রা দিবে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ), এএসকে ট্রেড এ্যান্ড এক্সিবিশন প্রা. লিমিটেড এবং জাকারিয়া ট্রেড এ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে মেলার আয়োজন করছে। প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সূত্র মতে, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রচ্ছন্ন (ডিমএক্সপোর্ট) রপ্তানি করে এ খাতের উদ্যোক্তারা আয় করেন ৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছর ছিল ৭ দশমিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সঙ্গে সরাসরি গার্মেন্টস এক্সেসরিজ রপ্তানি হয়েছে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি।
এ প্রদর্শনীতে সরাসরি সর্বোচ্চ রপ্তানিকারকদের থেকে তিনজনকে ও প্রছন্ন রপ্তানিকারকদের মধ্য থেকে তিন ক্যাটাগরিতে ৯ জনকে পুরস্কৃত করা হবে। এছাড়াও নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে তিনজনকে পুরস্কৃত করবে আয়োজকরা।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ, মোড়কিকরণ এবং লেবেল, জিপার, ট্যাগ, ট্যাপ, থ্রেড, রিবন, বাটন, রিভেট, লেইস, হুক, ট্রান্সফার ফিল্ম, পেপার, ইঙ্ক ইত্যাদিসহ সংশ্লিষ্ট মেশিনারি তুলে ধরবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।