মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’- শ্লোগান সামনে আজ থেকে ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব- ২০২০। বরাবরের মতোই এবারের উৎসবেও এশিয়ান ফিল্ম প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন ফিল্মস্, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম মেকার সেকশনে ৭৪টি দেশের দুইশত কুড়িটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উৎসকে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস, এস আলম গ্রুপ এবং সামিট গ্রুপ। উৎসব পার্টনার হিসেবে আছে- বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, আঁলিয়স ফ্রঁসেজ ঢাকা, স্টার সিনেপ্লেক্স, মধুমিতা সিনেমা হল, নরওয়েজিয়ান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হাগুসেন্ড, রিলিজিওন টুডে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ঢাকা ক্লাব লিমিডেট, বালিক আর্ট, চ্যানেল আই, দুরন্ত টিভি, একাত্তর টিভি এবং সেন্স ফর ওয়েভ। উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলী, দেশের সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র সমালোচক, বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাস সমূহের গণ্যমান্য কর্মকর্তা, রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ এবং অন্যান্য চলচ্চিত্র সংসদ এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের অংশগ্রহণ করবেন। উৎসবে ২২০টি চলচ্চিত্রে মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য (৭০ মিনিটের বেশি) চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১১৭টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১০৩টি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আছে ২৬টি যার মধ্যে ১৮টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন এবং ৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য। যে সব দেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শীত হবে তার মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আর্মেনিয়া, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, ভুটান, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, কিউবা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, প্যালেস্টাইন, জার্মানি, গ্রিস, হংকং, হাঙ্গেরি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইটালি, জাপান, কাজাকস্তান, কসোভো, কিরগিস্তান, লাটভিয়া, লেবানন, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মেক্সিয়া, নেপাল, নরওয়ে, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, কাতার, রাশিয়া, ¯েøাভেনিয়া, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, সিরিয়া, তাইওয়ান, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, আরব-আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভেনিজুয়েলা, সাইপ্রাস এবং স্বাগতিক বাংলাদেশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। উদ্ভোধনী চলচ্চিত্র ‘উইন্ডো টু দ্যা সি’। স্পেন ও গ্রীসের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল জিমেনেজ। উৎসবে উপস্থিত থাকবেন তিনি এবং এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগে জুরি’র দ্বায়িত্ব পালন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরই চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হবে। উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর স্থানসমূহ- জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ মিলনায়তন, মধুমিতা সিনেমা হল ও স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধারা সিটি ও সীমান্ত স্কোয়ার। জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তন: সকাল ১০টা থেকে চলবে শিশুতোষ চলচ্চিত্র। এক্ষেত্রে শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকরাও আসতে পারবেন। এছাড়া, সকাল ১০টা, দুপুর ১টা ও বিকাল ৩টার প্রদর্শনী শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে দেখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। এর বাইরে, সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য টিকেটম‚ল্য ৫০ টাকা। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তন: এখানে সকাল ১০টা থেকে শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শীত হবে। যেখানে অভিভাবকরাও শিশুদের সঙ্গে এই চলচ্চিত্রগুলো বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া, সকাল ১০টা, দুপুর ১টা ও বিকাল ৩টার প্রদর্শনী শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে দেখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। এর বাইরে, সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য টিকেটমূল্য ৫০ টাকা। জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনের সব প্রদর্শনী সবাই বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় আগে আসলে দেখবেন ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে। অঁলিয়াস ফ্রঁয়েজ মিলনায়তনের প্রদর্শর্নীগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় আগে আসলে দেখবেন ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও নৃত্যশালার প্রদর্শনীগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় আগে আসলে দেখবেন ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে। স্টার সিনেপ্লেক্স ও মধুমিতা সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত প্রদর্শনীর বিনিময়ে দর্শকরা উৎসবের চলচ্চিত্রগুলো উপভোগ করতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।