নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে গোটা ভারতে তুমুল অসন্তোষ। বিরোধীরা প্রায় প্রতিদিনই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। প্রতিবাদে, মিছিলে পথে নামছেন বহু সাধারণ মানুষ। সরব বুদ্ধিজীবীরাও। একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও সিএএ আইনের বিরোধিতা করছেন। এই অবস্থায় দেশের মানুষকে ধৈর্য ধরার আবেদন জানালেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রশিক্ষক রবি শাস্ত্রী।
তার মত, এই আইনের জেরে ভবিষ্যতে দেশ লাভবানই হবে। অনেক ‘ইতিবাচক’ দিক তিনি খুঁজে পেয়েছেন। ৫৭ বছর বয়সি প্রাক্তন ক্রিকেটারের যুক্তি, আইনটি আনার আগে সরকার অনেক ভাবনাচিন্তা করেছে বলে তিনি নিশ্চিত। একটি সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী বলেন, ‘ভারতের হয়ে খেলছি ১৮ বছর বয়স থেকে। আমার দলেও একাধিক ভাগ ছিল-ধর্মের, জাতির, শ্রেণির। তবে আমি বলব, ধৈর্য ধরুন। ভারতীয় হিসাবে ভাবুন। আমি তো দীর্ঘমেয়াদে অনেক ইতিবাচক বিষয় দেখতে পাচ্ছি। দেশের কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চয় এই বিষয়ে তলিয়ে ভেবেছে। এখন ব্যবহারিক জীবনে এসব প্রয়োগ করার বিষয়। যদি এতে সমাজের কিছু বিষয়ে উন্নতি হয়! আমি কোনও ধর্মের কথা বলছি না। ভারতীয় হিসাবে বলছি। আমি জীবনে সেটা বুঝেছি।’
সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, দেশের কিছু জনতাকে যেভাবে ভারতীয়, অন্যদের অ-ভারতীয় হিসাবে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এতে সমাজের সর্বস্তরে ভয়ের মানসিকতা গ্রাস করবে কি না। শাস্ত্রীর যুক্তি, ‘আমি এই বিষয়ে বিশদে যাচ্ছি না। আমি শুধু বলতে চাই, আমি যা অনুভব করি, ভারতীয় হিসাবেই। ধৈর্য ধরা উচিত। প্রত্যেকেরই এতে উপকার হবে।’
উল্লেখ্য, গত বছরেই শাস্ত্রী নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে একটি ভিডিও শেয়ার করে সমর্থকদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ‘ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট’ এবং ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এ সাড়া দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।