নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্যালেন্ডারের পাতা ওল্টালে আজ ১০ জানুয়ারি। আজ থেকে ঠিক ১৫ বছর আগে, এই দিনে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ২২৬ রানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিল তারা।
এ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন ওপেনার জাভেদ ওমর ও নাফিস ইকবাল। দুজনেই ৯১ রানের জুটিতে শক্ত একটি ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছিল দলকে। পরবর্তীতে নাফিস করেছিলেন ৫৬, হাবিবুল ৯৪, রাজিন সালেহ ৮৯, মোহাম্মদ রফিক ৬৯, খালেদ মাসুদ পাইলট (৪৯) ও মাশরাফি বিন মর্তুজা (৪৮)। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৪৯.৩ ওভারে ৪৮৮ রানে। তখন সেটিই ছিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রান।
জবাবে মাশরাফি-তাপসের পেস আক্রমণ ও রফিকের স্পিন জাদুতে দিশেহারা ছিল জিম্বাবুয়ে। ১৫২ রানেই জিম্বাবুয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। কিন্তু অধিনায়ক তাইবু শেষ দিকে ৯২ রানের একটি ইনিংস খেললে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে সংগ্রহ করে ৩১২ রান। বাংলাদেশের পক্ষে রফিক শিকার করেন ৫ উইকেট। এছাড়া মাশরাফি ৩টি ও তাপস বৈশ্য ১টি উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ল বাংলাদেশ। এ অবস্থায় আবারও হেসে উঠল হাবিবুলের ব্যাট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ২০৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন এলটন চিগুম্বুরা।
৩৮১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমেই শুরুতেই বিপাকে পরে জিম্বাবুয়ে। তাপসের বোলিং তোপে ৩.৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর-২ রানে ২ উইকেট। এবার স্পিনে কাবু করেন এনামুল হক জুনিয়র। একাই ৬ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের ১৫৪ রানে গুটিয়ে দেন বাঁহাতি এ স্পিনার। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন তাপস বৈশ্য আর মাশরাফি। এমন জয় ভুলতে পারে নি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (আইসিসি)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এই দিনকে স্মরণ করেছে তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।