পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফকে প্রক্যাশ্যে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। গতকাল বেলা ১১টার দিকে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ চার্জ গঠন করেন। চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হল। গত ১ জানুয়ারি এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন সম্পন্ন হয়েছিল।
চার্জ গঠন উপলক্ষে এ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৩ আসামিকে গতকাল সকালে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এদিন আদালতে উপস্থিত হন জামিনে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি প্রিন্স মোল্লাও। পরে আসামিদের উপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। চার্জ গঠন শেষে কারাগারে থাকা ১৩ আসামিকে ফের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আসামিরা হলÑ রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, মো. আবু আবদুল্লাহ রায়হান, মো. ওলিউল্লাহ অলি, জয় চন্দ্র সরকার চন্দন, মো. নাইম, মো. তানভীর হোসেন, নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, মো. সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ মহিবুল্লাহ, মারুফ মল্লিক, প্রিন্স মোল্লা, রাতুল সিকদার জয় ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।
অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবণের বিরুদ্ধে হত্যাকাÐে ষড়যন্ত্র, সহযোগিতা এবং আসামিদের পালাতে সহায়তার অভিযোগে ৩০২ এবং ১২০ (বি) ১ এবং ২১২ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, রিফাত হত্যা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন সম্পন্ন হয়েছে। ১৪ আসামির মধ্যে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে সরাসরি হত্যাকাÐে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে রিফাত হত্যার বিচার শুরু হল।
এর আগে গত সোমবার রাত ১১টার দিকে যশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৩ আসামিকে বরগুনা কারাগারে আনা হয়। গতকাল অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের তারিখ ধার্য থাকায় কারাগার থেকে আদালতে নেয়া হয়।
জেলা কারাগারের তত্ত¡াবধায়ক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৩ আসামিকে আদালতের নির্দেশে কারাগারের শিশু ওয়ার্ডে রাখা হয়। আদালতে ধার্য তারিখ থাকায় সকালে বরগুনা কারাগার থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে ১ জানুয়ারি এই মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠন করা হয়।
আমন সংগ্রহে ভুয়া নাম
যশোর ব্যুরো : যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় আমন ধান সংগ্রহের জন্য তৈরি করা তালিকায় ভুয়া নামের ছড়াছড়ির অভিযোগ উঠেছে।
আমাদের মণিরামপুর উপজেলা সংবাদদাতা জানান, রোহিতা ইউনিয়নের সরনপুর গ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের স্ত্রী জাহানারা বেগমের বয়স ৭৮ বছর। মাঠে তার কোন ফসলি জমি নেই। নেই তার কোন কৃষি কার্ডও। তিনি আমন ধানের চাষও করেননি। অথচ আমন সংগ্রহের তালিকায় নাম রয়েছে তার। সরকারি খাদ্যগুদামে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির জন্য তার নামে বরাদ্দ করা হয়েছে এক মেট্রিক টন ধান। অথচ তিনি জানেনইনা এ খবর।
একই গ্রামের ভ্যানচালক শাহাজানের স্ত্রী আছিয়া বেগমের কোন জমি না থাকলেও তালিকায় তার নামও অন্তভর্‚ক্ত করা হয়েছে। বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক মেট্রিক টন ধান।তিনিও জানেন না এ সম্পর্কে। শুধু আছিয়া বেগম অথবা জাহানারা বেগম নয়, এভাবে আমন সংগ্রহের তালিকায় জলকর রোহিতা গ্রামের তরিকুল ইসলাম, সাধন বিশ্বাষ, মামুদকাটি গ্রামের আলমগীর হোসেন, আমিনুল্লাহ, কদমবাড়িয়া গ্রামের রফিক গাজী, গাংড়ার হুমায়ুন কবিরসহ অসংখ্য ভুয়া নামের ছড়াছড়ি। লটারির মাধ্যমে ধান ক্রয় তালিকার দুই হাজার ১৫০ জনের মধ্যে এমন অনেক নামই রয়েছে, যাদের কোন কৃষি কার্ড নেই এবং তারা আমন চাষও করেননি।
সরেজমিন গিয়ে বিভিন্ন কৃষকের সাথে আলাপ করে ভুয়া তালিকার এসব চিত্র ফুটে উঠেছে। তালিকায় এমন ভুয়া নাম দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভ‚ক্তভোগী কৃষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী। তবে উপজেলা কৃষি অফিসার হীরক কুমার সরকারের দাবি, কৃষিকার্ডধারী আমন চাষিদেরই তালিকায় নাম অন্তভর্‚ক্ত করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।