পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : আলোচিত সাত খুনের দুটি মামলায় ৩৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে অভিযোগ গঠন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত।
সাত খুনের দুটি মামলায় প্রধান আসামি নূর হোসেন এবং র্যাবের চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ গ্রেফতারকৃত ২৩ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদেরকে ‘দোষী না নির্দোষ’ বলে জানতে চাইলে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, আদালত দুটি মামলার চার্জ গঠন করেছেন এবং আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, সোমবার সকালে কঠোর নিরাপত্তায় ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাত খুনের ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল পৃথকভাবে মামলা দুটি করেন। হত্যাকা-ের প্রায় এক বছর পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের আদালতে ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামনুর রশিদ ম-ল।
আসামিদের মধ্যে ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নূর হোসেন ছাড়া বাকিরা হলেন, সামরিক বাহিনী থেকে বরখাস্ত তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, এম এম রানা ও আরিফ হোসেন, র্যাব সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, এএসআই বজলুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক ও নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন ও বাবুল হাসান, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন, সিপাহি আবু তৈয়ব, নুরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার। পলাতক রয়েছেন আরো ১২ জন। তারা হলেন র্যাবের সার্জেন্ট এনামুল কবীর, এএসআই কামাল হোসেন, কর্পোরাল মোখলেছুর রহমান, সৈনিক আব্দুল আলিম, মহিউদ্দিন মুন্সী, আল আমিন শরীফ, তাজুল ইসলাম ও কনস্টেবল হাবিবুর রহমান পলাতক। হত্যার দায় স্বীকার করে র্যাবের ১৭ জনসহ ২২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া ঘটনার সাক্ষী হিসেবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন র্যাব সদস্যসহ আরও ১৭ জন।
নূর হোসেনের চাঁদাবাজির ২ মামলা জজ কোর্টে প্রেরণ
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৩টি চাঁদাবাজির মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন। তার মধ্যে দুটি মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তা জজ কোর্টে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আরেকটি মামলা খারিজের আবেদন করা হলে তাও নাকচ করে দেন আদালত। গতকাল সোমবার সকালে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালত এই আদেশ প্রদান করেন।
নূর হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোকন সাহা জানান, পুলিশ বাদী সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দুটি চাঁদাবাজি মামলা যথাক্রমে ২১(৫)১৪, ৪৫(৫)১৪ জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করে বিচারিক আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আরেক মামলার ৬৯৯(১৪) বাদী মুরাদ হোসেন গত ৪ শুনানীতে আদালতে উপস্থিত না থাকায় মামলাটি খারিজের আবেদন করা হলে আদালত তা নাকচ করে দেন। নূর হোসেনের বিরুদ্ধে সাত খুনের দুটি, চাঁদাবাজির তিনটি এবং অস্ত্র আইনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ছয়টিসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।