Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপির দুই প্রার্থীকে ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন

সিটি নির্বাচনেও সরকার কারচুপির প্রস্তুতি নিচ্ছে : ড. কামাল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ঢাকার সিটি নির্বাচনেও সরকার ভোট কারচুপির নাটকের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসনের সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এমন শঙ্কার কথা জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কিভাবে নষ্ট করা হচ্ছে তা আমরা দেখেছি। আমাদের শঙ্কা সিটি নির্বচানে একই ধরনের নাটক করার পথে সরকারের দিক থেকে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এই সরকারের যেসব কার্যকলাফের মধ্য দিয়ে সব দিক থেকে গণতন্ত্রকে ধবংস করা হয়েছে এবং সেই প্রস্তুতি তারা আবার নিচ্ছে। জনগনের কাছে আমার আবেদন থাকবে, নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, দেশকে বাঁচানোর জন্য সবাই এগিয়ে আসুন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন চাপে দেখানো যাক যে, জনগন যেটা চাচ্ছে- সেই নির্বাচন যেন আমরা করাতে পারি। আর যদি সরকার সেটাকে নিলর্জ্জভাবে ধবংস করে তখন আমাদেরকে আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের কথা হচ্ছে- জনগনের কাছে গিয়ে জানানো যে, তারাই দেশের মালিক। তাদেরকে জোরালোভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগনের আন্দোলন জোরদার করা হবে।

বিএনপির প্রার্থীদের ঐক্যফ্রন্টের পূর্ণ সমর্থন : নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে হুশিয়ারি উচ্চারণ করতে চাই, কথায় আছে ‘বারে বারে ঘুম তুমি খেয়ে যাও ধান’ এবারে সেরকম হবে না। আক্ষরিক অর্থে শুধু নয়, আমরা সর্বাংশে নির্বাচনের মতো করে জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে অংশ নিতে চাই।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমরা এই দুইজন প্রার্থীকে সর্বান্তকরণে সমর্থন দিচ্ছি এবং তাদের সমুদয় কাজের মধ্যে নির্বাচনের প্রচারণায় কেন্দ্রীয় নেতাসহ সবাই অংশ নিব। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মান্না বলেন, সরকারকে বলব ঠিক মতো নির্বাচন করেন। তা যদি না হয়, হতে পারে ২০১৯ সালে একটা কারচুপি করে, ডাকাতি করে পার পেয়েছেন। এবার পার পাবেন না। আমরা স্পষ্টতই বলছি, ২০১৯ সালে যেভাবে চুরি করে ডাকাতি করে পার পেয়েছেন। আমরা এরকম করেই জনগণকে সংগঠিত করতে চাচ্ছি যাতে সরকার এবার পার পেতে না পারে। দরকার লাগে আন্দোলন আবার সেকেন্ড ফ্যাজে সেদিন থেকেই শুরু করব।

তিনি বলেন, আমাদের উপলব্ধি হচ্ছে- সরকার প্রায় কয়েক বছর ধরেই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচনগুলো তারা করে একটা নাটকের মত। ফলাফলটা আগেই রেডি থাকে, এটা একটা নাটকের মধ্যদিয়ে জায়েজ করার চেষ্টা করে। এই ঘটনা আপনারা দেখেছেন ২০০৯ সালে। তারপরে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনগুলোতে দেখেছেন। এরপরে ২০১৪ সালের নির্বাচন দেখেছেন। আর ২০১৯ সালে ডাকাতি দেখেছেন আগের রাতেই ভোট হয়েছে। এই বিবেচনা থেকে আমরা মনে করেছি যে, মুখোমুখি হবো। জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায় যে কথা ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেছেন। এই নির্বাচনে আমাদের বিজয় নিশ্চিত। তারা কেড়ে নেয়া ছাড়া এটাতে জিততে পারবে না। আর আমরা এই নির্বাচনে নামছি-এবার কেড়ে নিতে দেবো না।
তিনি বলেন, ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে আপনারা জানেন। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এটা যেন বন্ধ থাকে। এটা ডেমোনেস্টেড করা হয়েছে যে, কি কি ভাবে এটার মধ্যে ছলচাতুরি করা যায়। নির্বাচন কমিশন এটা বিবেচনায় না নিয়ে তারা মিসটিউটর কথাবার্তার মত বলে দিয়েছে-এটার সবকিছু ঠিক আছে।

গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় মতিঝিলের চেম্বারে ড. কামাল হোসেনের সাথে দেখা করেন তাবিথ ও ইশরাক। তারা এই প্রবীন নেতার দোয়া নেন এবং ভোট প্রচারণা করণীয় বিষয়ে তার পরামর্শ শুনেন।
এ সময়ে বিএনপির ড. আবদুল মঈন খান, গণফোরামে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, মোশতাক হোসেন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল হক, ড. জাহিদ-উর রহমান, জেএসডির সা কা ম আনিসুর রহমান খান, শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বিকল্পধারা শাহ আহমেদ বাদল উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটি করপোরেশন নির্বাচন

২৯ ডিসেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ