পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শুধুমাত্র নির্বাচনী প্রচারণাই নয়, নির্বাচনের কোনো কার্যক্রমে মন্ত্রী-এমপিরা অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হওয়া কমিশনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের বৈঠক চলে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের নেতৃত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং দুই সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন ও আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন। তবে নির্বাচনী কাজে চট্টগ্রাম থাকায় এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।
বৈঠকে মাহবুব তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, দু’টি বিষয়ে স্পষ্ট ও প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে একটি সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ। এ বিষয়ে আমরা বলেছি বিদ্যমান আইনে যা আছে তার বাইরে যাওয়া সম্ভব না। অতি গুরুত্বসম্পন্ন কেউ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। এ ব্যাপারে আমরা বলেছি বিদ্যমান আইনে যা আছে তার বাইরে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।
তিনি বলেন, অতিগুরুত্ব সম্পন্ন সংজ্ঞায় যেসব বিষয় তার মধ্যে এমপি, মন্ত্রীরা পড়েন। আইনত তারা নির্বাচনী প্রচারকার্যে অংশ নিতে পারবেন না। শুধু নির্বাচনী প্রচার কাজ নয়, কোনও নির্বাচনী কার্যক্রমে তারা অংশ নিতে পারবেন না। তবে তারা যার যার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনও বিধি-নিষেধ নেই। এছাড়াও ইভিএম কিভাবে ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সব কেন্দ্রের জন্য ব্যাকআপ সিস্টেম থাকবে। ইভিএম আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন।
উত্তর ও দক্ষিণে দুইজন এমপি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী দায়িত্বে আছেন তারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচারে মন্ত্রী-সংসদ সদস্য সুযোগ চাওয়া হয়েছে কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম তাদের আইন বের করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যে তারা পারবেন না। তারাই এতে আশ্বস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনটি আমাদের কাছে অনেক চ্যালেঞ্জের। কেননা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আমরা ভোট করছি। কাজেই ভোটারের উপস্থিতি একটা চ্যালেঞ্জ। ভোটার উপস্থিতি কম হলে হবে না। আমরা চাই ব্যালট পেপারের মতো ইভিএমের ভোটারের উপস্থিতি হোক।
ইসি সহযোগিতা চেয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সব দলকে বলব, তাদের সবার সহায়তা আমাদের দরকার। আপনার ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। আমাদের সফলতা নির্ভর করছে ভোটার উপস্থিতির ওপর। এটা অত্যন্ত গুরুত্বে সঙ্গে দেখছি। আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট দেবুল কুমার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।