পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নীল আকাশের নিচে এ যেন অন্য এক সিলেট। দেশে প্রথমবারের মতো সিলেট শহরে চালু হয়েছে ভ‚গর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন। ফলে ডিজিটাল সিটি হিসেবে আরো একধাপ এগিয়ে গেল শহরটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিলেটকে নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে।
প্রশংসায় ভাসছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র। তবে এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিবৃতি দিয়ে পরিষ্কার করেছে এটি সিটি করপোরেশনের কোনো প্রজেক্ট না।
বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সিলেটে চলমান আন্ডার গ্রাউন্ড বিদ্যুৎ লাইন রূপান্তর প্রকল্প বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিশেষ উদ্যোগ। বর্তমান সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, সিলেট বিভাগ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সিলেট শহরে পাইলট ভিত্তিতে আন্ডার গ্রাউন্ড বিদ্যুৎ লাইন রূপান্তর কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
গতকাল ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, সিলেট বিভাগ’ প্রকল্পের পরিচালক স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভ‚-গর্ভস্থ লাইনে রূপান্তর করে সফলতার সাথে গত ৫ জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে একদিকে নগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নির্ভরশীলতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কাজে সিটি কর্পোরেশন সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে।
এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় আম্বরখানা উপকেন্দ্র থেকে চৌহাট্টা হয়ে বন্দরবাজার পর্যন্ত ২টি এবং শেখঘাট থেকে সার্কিট হাউজ পর্যন্ত আরও একটি ১১ কেভি ফিডারকে সম্পূর্ণভাবে ভূ-গর্ভস্থ লাইনে রূপান্তরের কাজ চলছে। শিগগিরই কাজগুলি সম্পন্ন হবে। সরজমিনে শাহজালালের (রহ.) মাজারসংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পাতাল লাইনের (ক্যাবল) মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। সেই সঙ্গে চলছে পুরনো তার এবং খুঁটি অপসারণ কাজ।
সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের প্রথম বহু প্রতীক্ষিত পাতাল বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে জঞ্জাল মুক্ত হতে চলছে নগরী। কে করলো, কারা করালেন এটা মুখ্য নয়। অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য সরকার। তবে আমরা চাই দ্রুত পুরো নগরী এ প্রকল্পের আওতায় আসুক।
এ দিকে নগরীর তারের জঞ্জালমুক্ত হওয়া পুরো সিলেটবাসী অনেকই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ, কে আব্দুল মোমেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান।
প্রকল্পটি সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। একটি ছবি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে অনেকেই কমেন্ট করছেন “এটা ইউরোপ আমেরিকা নয় আমাদের সিলেটের ছবি খুঁটিবিহীন এই বিদ্যুৎ প্রকল্প আপাতত কেবল সিলেটের ছোট্ট একটি এলাকায় বাস্তবায়িত হলেও, এতে উৎফুল্ল, উচ্ছ¡সিত ও গর্বিত হয়েছেন সারা দেশের মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।