Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে খুটিবিহীন বিদ্যুৎ, ক্রেডিট কার ?

ফয়সাল আমীন | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২০, ৪:১৫ পিএম

দেশের প্রথম সিলেটে ভূগর্ভস্থ হয়েছে বিদ্যুৎ লাইন। এর মাধ্যমে স্মার্ট ডিজিটাল সিটি হিসেবে একধাপ এগিয়ে গেল সিলেট। নীল আকাশের নিচে এ যেন অন্য এক সিলেট। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশের ন্যায় বিদেশে ও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিলেটকে নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে। প্রশংসায় ভাসছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড বিবৃতি দিয়ে বলছে অন্য কথা।

বিবৃতিতে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সিলেটে চলমান আন্ডার গ্রাউন্ড বিদ্যুৎ লাইন রূপান্তর প্রকল্প সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কোন প্রকল্প নয়। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিশেষ উদ্যোগে বর্তমান সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, সিলেট বিভাগ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সিলেট শহরে পাইলট ভিত্তিতে আন্ডার গ্রাউন্ড বিদ্যুৎ লাইন রূপান্তর কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বুধবার ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, সিলেট বিভাগ’ প্রকল্পের পরিচালক স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র শাহজালাল (রহ.) মাজারের সামনের রাস্তার দুপাশের ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইনকে সম্পূর্ণভাবে ভূ-গর্ভস্থ লাইনে রূপান্তর করে সফলতার সাথে গত ৫ জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে একদিকে নগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নির্ভরশীলতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কাজে সিটি কর্পোরেশন সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে।

এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় আম্বরখানা উপকেন্দ্র থেকে চৌহাট্টা হয়ে বন্দরবাজার পর্যন্ত ২টি এবং শেখঘাট থেকে সার্কিট হাউজ পর্যন্ত আরও একটি ১১ কেভি ফিডারকে সম্পূর্ণভাবে ভূ-গর্ভস্থ লাইনে রূপান্তরের কাজ চলছে। শীঘ্রই কাজগুলি সম্পন্ন হবে। বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের এ বিবৃতির পর নাগরিকদের মনে প্রশ্ন জাগছে আসলেই এ ক্রেডিট কার? সরকারের না মেয়রের? তবে বিজ্ঞজনরা বলছেন এ নিয়ে প্রশ্ন না তুলে আমরা শীগ্রই পুরো নগরীর বিদ্যুত লাইনকে ভ‚-গর্ভস্থ করার দাবী তুলতে পারি।

সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সারা দেশের মত সিলেটে ও জঞ্জাল নামক বিদ্যুতের তার আর তার। যে দিকে তাকাই সে দিকে তার দেখে মনে হবে মাকড়সার জাল। আর এই তার যে কত মানুষের স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়েছে তার শেষ নেই। তবে এবার শুরু হলো সেই জঞ্জাল নামক তার সরানো কাজ। দেশের প্রথম বহু প্রতিক্ষিত পাতাল বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে জঞ্জাল মুক্ত হতে চলছে নগরী। কে করলো, কারা করালেন এটা মূখ্য নয়। অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য সরকার। তবে আমরা চাই দ্রæত পুরো নগরী এ প্রকল্পের আওতায় আসুক। সরজমিনে শাহজালালের (রহ.) মাজারসংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পাতাল লাইনের (ক্যাবল) মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। সেই সঙ্গে চলছে পুরনো তার এবং খুঁটি অপসারণ কাজ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয় সূত্র জানায়, সিলেট নগরের ঝুলন্ত তার মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রকল্পটির নাম ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প সিলেট বিভাগ, সিলেট’। এ দিকে নগরীর তারের জঞ্জাল মুক্ত হওয়া পুরো সিলেটবাসী অনেকই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ,কে আব্দুল মোমেন,সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান।


কথা হচ্ছিল বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট ও ডিজিটাল শহর সিলেটকে নিয়ে। যে শহরে থাকবে না বৈদ্যুতিক তারের জঞ্জাল। ইতিমধ্যে নগরীর দরগা গ্ইেট এলাকা ভূ-গর্ভস্থ বৈদ্যুতিক ব্যাবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যার একটি ছবি ইতিমধ্যে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ও প্রকল্পটি সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে অনেকেই কমেন্ট করছেন “এটা ইউরোপ আমেরিকা নয় আমাদের সিলেট এর ছবি ” হ্যাঁ ছবিটির দিকে তাকালে উন্নত কোন দেশের প্রতিচ্ছবি চোখে ভেসে আসাটাই স্বাভাবিক।

খুটিবিহীন এই বিদ্যুৎ প্রকল্প আপাতত কেবল সিলেটের ছোট্ট একটি এলাকায় বাস্তবায়িত হলেও,এতে উত্ফুল­, উচ্ছাসিত ও গর্বিত হয়েছেন সারা বাংলাদেশের মানুষ। ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা যায় এটা কেবলমাত্র সিলেটীরাই নন বরং সারা দেশের মানুষ গর্বের সাথে শেয়ার করেছেন এবং অনেকটাই দলমত নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অগ্রযাত্রাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এটা দেখে সকল দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীর মতো আমার বুকটা গর্বে ভরে উঠেছে! রক্তের ভেতরে এক অজানা আনন্দ খেলা করে জাতিকে আনন্দে মেতে উঠতে দেখে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুটিবিহীন বিদ্যু
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ