বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গণতন্ত্রকে চিরতরে দেশ থেকে বিদায়ের গভীর মাস্টারপ্লানের অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দীর পর এখন হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয়েছে অন্যায়ভাবে সাজানো মামলায়। বেআইনী শাসকগোষ্ঠী ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকিয়ে রেখেছে কেবলমাত্র বর্তমান মিডনাইট সরকারের ব্যর্থতা, অনাচার ও দু:শাসনের বিরুদ্ধে যাতে কোন প্রতিবাদ উচ্চারিত না হতে পারে। দেশনেত্রীকে এখন বিনা চিকিৎসায় তিলেতিলে প্রাণনাশের গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে সরকার।
গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টায় বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিএনপি’র অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি শাহবাগ মোড় থেকে শুরু হয়ে শেরাটন হোটেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন বিএনপি’র সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাউসার, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, ছাত্রদল নেতা আসলাম, যুবদল নেতা সোহেলসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল এবং সরকারী-বেসরকারী মেডিকেল কলেজের ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার হাত-পা, ব্যথা-বেদনায় ক্রমান্বয়ে অবশ হয়ে যাচ্ছে। তিনি কিছুই খেতে পারছেন না-তিনি যা খাচ্ছেন সবই বমি হয়ে যাচ্ছে। দেশে এখন এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজমান। গণতন্ত্রকে চিরতরে দেশ থেকে বিদায়ের জন্যই গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে এখন হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে। মিডনাইট নির্বাচনের পর অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর প্রধান শেখ হাসিনা আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে এক ভয়াবহ দুঃশাসনের বেড়াজালে জনগণেকে আটকিয়ে রেখেছে। কথা বলা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণরুপে হরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণকে ভয় দেখিয়ে চিরকাল রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখার জন্যই গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা তথা রক্তপাতের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মহাদুর্নীতি ও অবাধে লুটপাট নিশ্চিত করার জন্যই একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। জনগণের ওপর চলছে ক্ষমতাসীনদের স্টিম রোলার। চারিদিকে শুধু হাহাকার ও দীর্ঘশ্বাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এই নৈরজ্যাকর অবস্থা চলতে পারে না। আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যে বহুদলীয় গণতন্তের কোন অস্তিত্ব নেই। জাতিকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করতে এবং হারানো গণতন্ত্র ফিরে পেতে ‘গণতন্ত্রের মা’ গণমানুষের প্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিকল্প নেই। রুহুল কবির রিজভী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।