পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরে যেতে বিএনপি সমর্থিত মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন উত্তর সিটির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। তিনি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সমর্থকসহ বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ওপর নানা কায়দায় জুলুম নির্যাতন শুরু হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার ও নির্বাচন থেকে সরে যেতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করা হচ্ছে। এতে প্রমাণ হয় বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী ৩০ ডিসেম্বরের মতোই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও প্রহসন করতে চায়।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তর নির্বাচন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তরে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। প্রধান বক্তা ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন-স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরেজ জামান, উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাইদুল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বির প্রমূখ।
এছাড়াও সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ান উল হোসেন রিয়াজ।
সভায় তাবিথ আউয়াল বলেন, আমাদের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে উপেক্ষা করে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের সিদ্ধান্তে অটল থাকা প্রমাণ করে ভোট নিয়ে সরকারের চরম দুরভিসন্ধি রয়েছে। আমি পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই-এই মূহুর্ত থেকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে ইভিএম পদ্ধতি বাতিলসহ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত নতুন করে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দায়ের ও গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। গতকালও নির্বাচন কমিশনের নিকট আমরা এই দাবি জানিয়েছি, আজকেও একই দাবি জানাচ্ছি।
শফিউল বারী বাবু বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতির মতোই আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন সরকার। ২০০৯ সালে জনগণের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা লাভ এবং ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের রাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতা দখলের পর আওয়ামী অবৈধ সরকার নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র জনসমর্থন নেই। আর জন্যই জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে দেশের জনগণ ও বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর স্টিমরোলার চালাচ্ছে সরকার। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের ব্যাপক ভরাডুবি হবে এটি আঁচ করতে পেরেই রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে চিরকাল ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আসন্ন ঢাকা সিটি নির্বাচনেও প্রহসন করে নিজেদের দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে চায়।
আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল বলেন, বর্তমান আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। জনগণের ভোটের অধিকারকে কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল এবং ভয়াবহ দুঃশাসনের কারণে বর্তমান সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ। আর এই কারণেই জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে দেশের জনগণ ও বিরোধী দলগুলোকে ঘায়েল করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দ্বারা সারাদেশকে সন্ত্রাসের নগরীতে পরিণত করেছে সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।