Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনিশ্চয়তায় ৩শ’ হেক্টর জমির বোরো চাষ

আনোয়ারায় স্বনির্ভর খালে বাঁধ

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ইছামতি স্বনির্ভর খালে বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় চলতি মৌসুমের বোরো চাষের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সড়কের ভাঙন ঠেকাতে খালের মাঝখানে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে বারখাইন, ষোলকাটা, খিলপাড়া, ও হাজী গাঁওয়ে প্রায় দুই হাজার চাষীদের ৩ শত হেক্টর জমির মধ্যে বোরো চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বোরো চাষীর জানান, চলতি বোরোচাষ মৌসুমে বারখাইন, ষোলকাটা, খিলপাড়া, ও হাজী গাঁওয়ে স্বনির্ভর খালের পানি দিয়ে বিলের প্রায় ২ হাজার চাষী চাষ করে থাকে।
চাষীরা জমিতে কাজও শুরু করে দিয়েছে। ইতেমধ্যে স্বনির্ভর খালের ষোলকাটা রাস্তার পাশে বাঁধ নির্মাণ করে সড়কের পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণ শুরু করে। যার কারণে প্রবাহমান পানি চলাচল বন্ধ থাকায় বোরো চাষীরা পানির জন্য হাহাকার শুরু করে দিয়েছে।
ওই খালের চাষী নাছির উদ্দিন জানান, স্বনির্ভর খালটি আনোয়ারা ইছাখালি খাল হয়ে ষোলকাটা, খিলপাড়া বিলে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এখানে রয়েছে হাজার হাজার বোরো চাষী। শুধু মাত্র ষোলকাটা বিলে রয়েছে দেড় হাজারের উপরে বোরো মৌসুমের ধান চাষী। কিছুদিন আগে আনোয়ারা-বরকল সড়কের ষোলকাটা এলাকায় রাস্তার ভাঙন রোধে দেয়াল নির্মানের জন্য বিকল্প ব্যাবস্থা না করে নিজেদের সুবিধার্থে খালটিতে মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে। যার কারণে হাজীগাঁও, ষোলকাটা ও খিলপাড়া এলাকার চাষীরা পানির জন্য কষ্ট পাচ্ছে। আর পানি না পেলে চাষ করা সম্ভব হবেনা। যার ফলে লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মোখিন হবে চাষীরা। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন দ্রুত বাঁধটি অপসারণ করে খালটি উম্মুক্ত করা হউক।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, বাঁধ যদি খুলা না হয় তাহলে প্রায় ৩ শত হেক্টর জমির ২ হাজার চাষি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জমির বোরো চাষ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ