Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চার-ছক্কার প্লকার্ডও নিষিদ্ধ!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

খেলার সাথে রাজনীতি মেশানোর চর্চা ইতিবাচক চোখে দেখেন না সাধারন মানুষ। ক্রীড়াঙ্গণকে সর্বদাই চেষ্টা করা হয় রাজনৈতিক প্রভাববলয় থেকে মুক্ত রাখার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে খেলাধুলা ও রাজনীতি এক অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক সঙ্কটের জন্য দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দরজা বন্ধ বহুদিন ধরে। বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরে না যাওয়া প্রসঙ্গে পাকিস্তান দেখছে ভারতের চাপ। এবার ভারতের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে দেশটি।

আজ গুয়াহাটির বরসাপাড়া স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামছে স্বাগতিক ভারত ও শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে কোনওরকম পোস্টার, ব্যানার ও মেসেজ বোর্ড চলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আসম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। এমনকি ম্যাচের মধ্যে যে সব ৪-৬ লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন দর্শকরা, নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে সেগুলির ওপরেও! নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গোটা দেশের পাশাপাশি বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে আসামেও। ম্যাচের মধ্যে যাতে সিএএ বিরোধী কোনও পোস্টার-ব্যানার প্রদর্শিত না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয গনমাধ্যমে গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার এমপি গুপ্তা দাবি করেছেন, ‘এই নির্দেশের (সিএএ) সঙ্গে নাগরিকত্ব আইনের কোনও সম্পর্ক নেই।’ আন্তর্জাতিক ম্যাচে নিরাপত্তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্তা। এই বিষয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই বলে দাবি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ বোর্ড মেনে চলবে বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই-এর একজন কর্মকর্তা। আজকের ম্যাচ ভালো ভাবে পার করতে পারলে আইপিএলের জন্য তৈরি হয়ে যাবে গুয়াহাটি। বেশ কয়েক বছর ধরেই গুয়াহাটিতে আইপিএলের ম্যাচ পেতে চেষ্টা চালাচ্ছে আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।

এদিকে গতমাসে শুরু হওয়া সিএএ বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আসাম, যেখানে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এরকম একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সম্যক জ্ঞান নেই বলে জানিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাই এ ব্যাপারে মন্তব্যও করতে রাজি হননি তিনি, ‘যে ব্যাপারে (সিএএ) আমার সম্প‚র্ণ জ্ঞান নেই, তাতে জড়াতে চাইব না আমি, এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিয়ে কিছু বলতেও পারব না।’ যদিও দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে জানা যেকোন নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালের আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন, এবং পার্সি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত। তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন শুধুমাত্র মুসলিম নাগরিকরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ