বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নতুন প্রজন্মের সঙ্গে বাঙালির কৃষ্টি, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প আর বাংলার বাহারি স্বাদের পিঠার পরিচয় করিয়ে দিতে রাজধানীতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী পৌষমেলা। গতকাল শনিবার সকালে যন্ত্রসংগীত বাদনের মধ্য দিয়ে বাংলা একাডেমির নজরুল চত্বরে মেলাটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মাটির ‘আইলা’ জ্বালিয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। এসময় সুকান্ত ভট্টাচার্যের প্রার্থী কবিতাটি আবৃত্তি করেন রফিকুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আমাদের জীবনকে সহজ করতে গিয়ে সংস্কৃতিগুলোকে যেন হারিয়ে না ফেলি, তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের জীবন সহজ করতে গিয়ে বাসা-বাড়িতে পিঠা-পুলি বানানো অনেকটা ছেড়েই দিয়েছি। কিন্তু এগুলো আমাদের ঐতিহ্য।
বাঙালি জীবনে পৌষমেলার প্রভাব রয়েছে উল্লেখ করে মেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, সংস্কৃতি বাঙালির মেরুদন্ডর মতো। হাজার বছরের এ ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে আমাদের এর পরিচর্যা করতে হবে।
গ্রাম এবং শহর একই সুতোয় বাঁধা উল্লেখ করে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, আমাদের গ্রাম এবং শহরের মধ্যে আলাদা কিছু নেই। আমরা যেন সেখানে প্রভেদ না করি। আমাদের সন্তানেরা আজ যে স্ন্যাকস, স্যান্ডুইচ, বার্গারের ভিড়ে আমাদের পিঠা-পুলিগুলো ভুলতে বসেছে, এটা আমাদেরই দোষ। আমাদের উচিত তাদের সেগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পৌষমেলা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভপতি ফকির আলমগীর এবং বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢেকি নাচে দাপুর-ধুপুর গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে কথুক নৃত্য সম্প্রদায়। এরপরই ফেরদৌসি কাকলী গেয়ে শোনান পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে, আয় আয় আয় গানটি। এসময় আরও নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যম, স্পন্দন ও নৃত্যজন। এছাড়া একক সংগীত পরিবেশন করেন বিশ্বজিৎ রায়, আবু বকর সিদ্দিক, শারমিন শখী ময়না, আবিদা রহমান সেতু এবং নবনীতা জাইদ চৌধুরী। আবৃত্তি করেন লায়লা আফরোজ এবং মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র। মেলা উপলক্ষে একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে চলছে দেশীয় পিঠা-পুলির প্রদর্শনীও। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলেব। সঙ্গে থাকবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও। মেলা শেষ হবে আগামীকাল সোমবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।