Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকায় আশঙ্কাজনক হারে কমেছে খোলা জায়গা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

গত ২০ বছরে ঢাকায় আশঙ্কাজনক হারে কমেছে জলাভ‚মি ও খোলা জায়গা। এর বিপরীতে কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকার হার বেড়েছে। সবুজ আচ্ছাদিত এলাকাও কিছুটা বেড়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা কম। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়। রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স ভবনে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ঢাকা শহরে বায়ু, পরিবেশ ও বাসযোগ্যতা প্রেক্ষিত : সবুজ এলাকা, জলাশয়, খোলা উদ্যান ও কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকার বিদ্যমান অবস্থার বিষয়ে এ গবেষণা করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে ঢাকায় ১৯ দশমিক ৯ বর্গ কিলোমিটার জলজ ভ‚মি ছিল; যা মোট ভ‚মির ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ ছিল। ২০১৯ সালে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৭ বর্গ কিলোমিটারে; যার শতকরা হার ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২০ বছরে জলজ ভ‚মি কমেছে ১৩ দশমিক ২২ বর্গ কিলোমিটার; শতকরা হিসেবে ৬৯ দশমিক ২৫ শতাংশ জলজ ভ‚মি কমেছে। ১৯৯৯ সালে ঢাকায় খোলা জায়গা ছিল ১৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ; যা মোট আয়তনের ১৪ দশমিক ০৭ শতাংশ। ২০১৯ সালে এর পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ; শতকরা হিসেবে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। ২০ বছরে খোলা জায়গা কমেছে ১২ দশমিক ৬৮ বর্গ কিলোমিটার; শতকরা হিসেবে ৬৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।
১৯৯৯ সালে ঢাকায় সবুজ আচ্ছাদিত ছিল ৮ দশমিক ৯৭ বর্গ কিলোমিটার; যা মোট আয়তনের ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০১৯ সালে সবুজ আচ্ছাদিত এলাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৩৩ বর্গ কিলোমিটারে; শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৯ দশমিক ২ শতাংশ। ২০ বছরের হিসেবে ৩ দশমিক ৩৬ বর্গ কিলোমিটার সবুজ আচ্ছাদিত এলাকা বেড়েছে। ১৯৯৯ সালে কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ছিল ৮৭ দশমিক ০৯ বর্গ কিলোমিটার; যা মোট আয়তনের ৬৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ২০১৯ সালে কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯ দশমিক ৬৩ বর্গ কিলোমিটারে; শতকরা হিসেবে ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশ। ২০ বছরে বেড়েছে ২২ দশমিক ৫৪ বর্গ কিলোমিটার; শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৬৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।

বিআইপির সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, জলশায় ও খেলার মাঠ কমে যাওয়ায় এর প্রভাব পরিবেশ ও নাগরিক জীবনে পড়ছে। সবুজ বনায়ন যে পরিমাণ থাকা দরকার তা নেই। কিন্তু কংক্রিট বেড়েই চলছে। জলাশয় ভরাটকারীদের জরিমানার পাশাপাশি জেল দেওয়ার বিধান তৈরির দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জরিমানার পাশাপাশি অভিযুক্তদের জেল দিতে হবে। কারণ কয়েকলাখ টাকা জরিমানা দেওয়া তাদের কাছে কোনো বিষয়ই না। সভাপতি ড. এ কে এম আবুল কালাম বলেন, আমরা পাঁচটি জলাশয়ের প্রস্তাব করেছি। এটি বাস্তবায়ন করা হলে আমরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খোলা জায়গা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ