Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যুদ্ধ থামাতেই সোলাইমানিকে হত্যা করি, ট্রাম্পের দাবি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৯ পিএম

যুদ্ধ শুরু করতে নয়, বরং তা থামাতেই ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিজের মালিকানাধীন ফ্লোরিডার বিলাসবহুল মার-এ-লাগো রিসোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানি কমান্ডারকে হত্যার পর একে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে নতুন যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত হিসেবে মনে করছেন অনেকেই। প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেছেন।
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলায়মানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই ইরানের এ সামরিক কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ইরানি সামরিক কমান্ডার আমেরিকানদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন বলেও দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, সোলাইমানি আমেরিকান কূটনীতিক ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার চক্রান্ত করছিল। কিন্তু আমরা তাকে খতম করে দিয়েছি। যুদ্ধ থামাতে আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছি।
মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক রাজনীতিতে ইরানের শক্তি বৃদ্ধির প্রধান কারিগর মনে করা হয় এই জেনারেল কাসেমিকে। তিনি দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সবচেয়ে প্রভাবশালী কমান্ডার ছিলেন। সিরিয়া ও ইরাকে ইরানের স্বার্থ রক্ষায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। গত অক্টোবরেও তাকে হত্যাচেষ্টা বানচাল করে দেওয়ার দাবি করে তেহরান।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের দাবি, ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মী ও কূটনীতিদের ওপর হামলার সক্রিয় পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। গত সপ্তাহ বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলাও তার নির্দেশেই হয়েছিল। ভবিষ্যতে ইরান যেন আরও হামলার পরিকল্পনা করতে না পারে সেজন্যই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • মু. মাঈনুদ্দীন হাসান ৪ জানুয়ারি, ২০২০, ৪:১৬ পিএম says : 0
    বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য কাশেম সোলাইমানি অত্যন্ত চৌকস, বিচক্ষণ একজন ব্যক্তি ছিলেন। বিশেষ করে সিরিয়ার দামেস্ক, আলোপ্পো, লেবানন, ইরাকের বাগদাদ তার অধীনে থাকায় অনেকটা সুরক্ষিত ছিল। আমেরিকান হোয়াইট হাউস-পেন্টাগণ দ্বারা ট্রাম্প প্রশাসনের নেতৃত্বে এমন ঘটনা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার সৃষ্টি করবে এবং সূদুরে তা পুরো বিশ্বে ভয়ংকর এক পরিস্থিতি তথা যুদ্ধ সৃষ্টি হওয়ার মতো প্রবণতা হতে পারে। বিধায়, এখনি জাতিসংঘের বিষয়টি সুরুহা করা অত্যন্ত জরুরি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ