Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে বসুন্ধরা কিংস

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:৪৪ পিএম

ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুম সূচক টুর্নামেন্ট টিভিএস ফেডারেশন কাপের ফাইনালে নাম লেখালো বর্তমান রানার্সআপ বসুন্ধরা কিংস। শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বসুন্ধরা ৩-০ গোলে নবাগত পুলিশ ফুটবল ক্লাবকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নিল। বিজয়ী দলের পক্ষে স্থানীয় ডিফেন্ডার তপু বর্মণ, কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস ও আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড নিকোলাস দেলমন্তে একটি করে গোল করেন।
গেল মৌসুমে অভিষেক আসরে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠলেও সোনালী ট্রফিটা ছোঁয়া হয়নি বসুন্ধরা কিংসের। ঢাকা আবাহনীর কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল তাদের। তবে এবার হয়তো তাদের স্বপ্নপূরণের পালা। কারণ এবারের আসরের ফাইনালে বসুন্ধরার প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত দূর্বল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার দলটি প্রথম সেমিফাইনালে ১-০ গোলে ঢাকা মোহামেডানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুখোমুখি হবে বসুন্ধরার। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকাল ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
শুক্রবার বৃষ্টিভেজা কাদা মাঠে শুরু হয় বসুন্ধরা-পুলিশ দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। ম্যাচের শুরু থেকেই বার বার পিছলে পড়ছিলেন ফুটবলাররা। হোচট খেয়ে পড়ে গিয়ে ফের উঠেই আক্রমণে গেছেন তারা। প্রতিপক্ষকে রুখতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল দু’ক্লাবের ফুটবলারদেরই। তবে শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয়ার চেষ্টা করে বসুন্ধরা। পুলিশও কম যায়নি। তারাও পাল্টা আক্রমণে গিয়ে ম্যাচকে উপভোগ করে তোলে। তবে দূর্বল রক্ষণভাগের কারণেই ম্যাচে হারতে হয়েছে পুলিশকে। তাদের আক্রমণভাগ শক্তিশালী হলেও রক্ষণভাগ ছিল একেবারেই নড়বড়ে। আর এতেই অভিষেক আসরের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় পুলিশ ফুটবল ক্লাবের। তবে পুরো ম্যাচে বসুন্ধরার অধিনায়ক কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের খেলা ছিল চোখে পড়ার মতো। ম্যাচের ১১ মিনিটে তার চমৎকার বাইসাইকেল কিকের শট পুলিশের জালে জড়িয়ে যায়। কিন্তু রেফারি সুজিত ব্যানার্জী চন্দনের অফসাইডের বাঁশিতে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। আশাহত বসুন্ধরা নতুন উদ্যেম নিয়ে আক্রমণে গেলে ছয় মিনিটের মধ্যেই সফলতার মুখ দেখে তারা। ম্যাচের ১৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। এর আগে দুর্দান্ত গতিতে বল নিয়ে কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়লে তাকে অবৈধভাবে বাধা দেন পুলিশের ডিফেন্ডার খান মো. তারা। রেফারি তারাকে হলুদ কার্ড দেখানোর পাশাপাশি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি শুট থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন তপু বর্মণ। তপুর শট পুলিশের গোলরক্ষক হিমেল বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও ধরতে পারেননি (১-০)। ম্যাচের ৫০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন কলিন্দ্রেস। ডিফেন্ডার আরতুর মুলাদজানভ ও তারা খানকে পরাস্ত করে অনেকটা ড্রিবলিং করে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন কলিন্দ্রেস। ডানপ্রান্ত দিয়ে তার বুলেটগতির শট রুখতে পারেননি গোলরক্ষক হিমেল (২-০)। ম্যাচের শেষ দিকে এসে আরো একটি গোল হজম করে পুলিশ। যোগকরা সময়ে (৯০+৩ মিনিট) আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড নিকোলাস দেলমন্তে গোল করলে শেষ পর্যন্ত ৩-০ ব্যবধানের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ