পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে মাদকের প্রবেশ ঠেকাতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কয়েকবার আলোচনা করেছি। তারা প্রতিবারই আমাকে আশ্বস্ত করেছে। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। মিয়ানমারের কারণে ইয়াবা নামক ভয়াবহ মাদক ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাদক নির্মূলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের দেশে মাদক উৎপাদন হয় না। চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দেশে নানা পথে মাদক ঢুকছে। মাদকের একটি অংশ পাচার হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। অবশিষ্ট মাদক রয়ে যাচ্ছে দেশেই। ইদানীং মাদক চোরাচালানে নারীরাও যুক্ত হয়েছেন। আর মাদক ব্যবসায়ীরা শিশুদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করছে। এগুলো আমরা লক্ষ্য করছি। কাজেই মাদক নির্মূলে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের সবাইকে মাদকের কুফল সম্পর্কে জানাতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। তবেই সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তিনভাবে কাজ করছি। ডিমান্ড হ্রাস, সাপ্লাই হ্রাস এবং সর্বোপরি মাদকাসক্তদের পুনরায় কর্মক্ষম করতে নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে কাজ করছি। কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। এর বিপরীতে ৮০ হাজারের ওপর বন্দি রয়েছে কারাগারে। যার বেশিরভাগই মাদকের আসামী। মাদক মামলা নিস্পত্তির জন্য আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রক্রিয়াধীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি বেসরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে মাদকাসক্তরা সুচিকিৎসা পান। ঢাকা কেন্দ্রীয় মাদক নিরাময় কেন্দ্র ও চারটি বিভাগীয় মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৮ হাজারেরও বেশি মাদকাসক্তকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে।
বিশেষ অতিথি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, চীন একটি আফিম খোরের দেশ ছিল। আফিম খেয়ে চীনের লোকজন দিনের পর দিন ঘুমিয়ে থাকতো। সেখান থেকে মাও সেতুং টেনে নিয়ে চীনকে আজকে কোথায় নিয়ে গেছে। আমরাও পারব মাদককে রুখে দিয়ে সোনার বাংলা গড়তে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান ও সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।