পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বিগত দশকে বাংলাদেশের বিস্ময়কর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রফতানি অভাবনীয় বৃদ্ধি হয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন মহল ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। সরকার সব অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে এ সব মিথ্যা প্রচারণাকে প্রতিরোধ করার জন্য নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত রফতানির সুবিধা বজায় রাখতে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশন প্রধানদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
মিশন প্রধানদের কাছে সম্প্রতি লেখা এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন দেশের সরকার, নীতিনির্ধারণী মহল ও আমদানিকারকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের রফতানির প্রবৃদ্ধি অক্ষুন্ন রাখতেও নির্দেশনা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, আমাদের তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষিপণ্য রফতানির সম্ভাবনাময় নতুন বাজার অনুসন্ধানে মিশনগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। সার্বিক বিনিয়োগ এবং রফতানি বৃদ্ধিতে আরও মনোযোগী হতে হবে। যাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্জন করতে পারি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধি এবং দেশে উৎপাদিত পণ্যের নতুন বাজার তৈরির পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিও আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) গঠনের মাধ্যমে সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদান করছে।
বাংলাদেশে যে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮টি হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে মিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিদেশি বিনিয়োগ বান্ধব যেসব নীতি গৃহীত হয়েছে এবং যেসব প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে, তা স্বাগতিক দেশগুলোর সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে মিশনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। এ বিষয়ে সবাইকে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত, বিভিন্ন প্যাকেজের বিবরণ ইত্যাদিতে সব সহায়তা বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রদান করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর এ বিষয়ে বিশেষ করণীয় রয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রচারণা সম্পর্কে দূতাবাসগুলোকে সজাগ থাকতে হবে এবং উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাতের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরতে মিশনগুলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি আশা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।