দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাগুরায় লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত সরিষার আবাদ
স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম
মাগুরায় সরিষার আবাদ দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। সামান্য পরিচর্যা আর কম খরচে সরিষা চাষে লাভের আশা করছেন চাষিরা। হেক্টরপ্রতি ১.৩ মে.টন সরিষা আবাদ হবে বলে আশা করছে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর।
মাগুরা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার সদর উপজেলাসহ ৪ উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার থেকে ১০ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে। মাগুরা সদর উপজেলায় ৭ হাজার ২শ’ ১৫ হেক্টর, মহম্মদপুর উপজেলায় ১ হাজার ১শ’ ৩০ হেক্টর, শ্রীপুর উপজেলায় ৭শ’ হেক্টর, শালিখা উপজেলায় ৪ হাজার ২শ’ ৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। গত বছর ১২ হাজার ৫শ’ ৯০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল।
চাষিরা জানান, আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে ফলন ভালো হবে। আঠারোখাদা ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি অফিসার শ্রীমান লব কুমার রায় জানান, সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটিই কম হওয়ায় চাষিরা এ ফসলের দিকে ঝুঁকেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাগুরা সদর উপজেলার ইছাখাদা, দক্ষিণ মির্জাপুর, হাজিপুর, রাঘবদাইড়, শ্রীপুর উপজেলার নকোল, কমলাপুর, খামারপাড়া, বরিশাট গোপালগ্রাম, মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী, নোহাটা, রাজাপুর এবং শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর, আড়পাড়া এবং সীমাখালিসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষার ফুল ফুটেছে। আমন ধান কাটার পর জমি কিছুদিনের জন্য পরিত্যক্ত থাকে। আর সে জমিতেই অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। সামান্য পরিচর্যা আর অল্প খরচে চাষাবাদ করা যায় বলে দিনদিন জনপ্রিয়ও হয়ে উঠছে সরিষার চাষ। দেশিয় জাতের পাশাপাশি রয়েছে উন্নত জাতের বিনা ও বারী সরিষা। এ সময়ে আবহাওয়া অনুক‚লে এবং রোগবালাই না হলে ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা।
চাষিরা জানায়, দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে খরচ হয়েছে সর্বোচ্চ ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। শুধু বিজ ও সামান্য সার দিলেই সরিষা আবাদ করা যায়। ফলন পাওয়া যায় বিঘাপ্রতি সাত মণ সাড়ে সাত মণ যার বাজারমূল্য মণপ্রতি প্রায় ২০০০ টাকা।
মাগুরা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. জাহিদুল আমিন বলেন, সরিষা চাষে কৃষকরা যেভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তা খুবই ইতিবাচক। যা কৃষি ক্ষেত্রে আরেকটি সাফল্য। চাষাবাদে খরচের পরিমাণ কম, পানি একবার দিলেই হয়। মাত্র ৭০ দিনে ফসল উৎপাদন হয়।
