Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বেড়েছে লেনদেনের গতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে বিদায় নেয়া ২০১৯ সালের শেষ তিন কার্যদিবস এবং নতুন বছর ২০২০ সালের প্রথম দিন কিছুটা শ্লথ থাকলেও দ্বিতীয় দিন ঊর্ধ্বমুখী থাকল শেয়ারবাজার। শেয়ারবাজার টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার হয়েছে।
শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালে বাজারে যে ধরনের পতন হয়েছে তাতে নতুন বছরে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোটা স্বাভাবিক। পতনের কারণে বর্তমানে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কেনার উপযোগী রয়েছে। এই বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিশেষ করে ব্যাংকের সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডিএসইর এক সদস্য বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বেশ ছাড় দেয়া হয়েছে। কিন্তু শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সেভাবে আসেনি। এখন ব্যাংকগুলোর ২০১৯ সালের হিসাব শেষ হয়েছে। তাই আশা করা যায় নতুন বছরে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়বে। ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বর্তমান বাজার কেনার জন্য বেশ উপযোগী। আশা করি সামনে বাজার আরও ভালো হবে। বাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। আমাদের ধারণা নতুন বছরে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়তে পারে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ কার্যদিবসের ঊর্ধ্বমুখীতায় সূচকটি ৬৯ পয়েন্ট বাড়ল। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গতকাল ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর মাধ্যমে শেষ পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বাড়ল।
সবকটি সূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। দিনভর বাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬৭টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৩৭টির। আর ৪৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দুইশ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করে লেনদেনের পরিমাণ তিনশ কোটি টাকার ঘরে উঠেছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৯৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৯০ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৪৪ পয়েন্টে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৮টির, কমেছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেয়ারবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ