পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য, তাদের পকেট ভারী করতেই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সংশোধিত এই আইনকে ‘মরার ওপরে খাড়ার ঘা’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় ইনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে। অতীতে আইনের মধ্যে ছিলো যে, সরকার প্রয়োজন মনে করলে বছরে একবার বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের মূল্য বাড়াতে পারবে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে যেটা করা হয়েছে- সরকার ইচ্ছা করলে একাধিবার বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম বাড়াতে পারবে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পনের পর তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ইতোমধ্যে যেভাবে জনগণকে শোষণ করছে, যেভাবে বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্য বার বার বৃদ্ধি করে জনগণের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কিসের জন্য? বিদ্যুৎ সেক্টরে যে আওয়ামী সিন্ডিকেট আছে তাদের মুনাফার জন্য, তাদের পকেট ভারী করার জন্য। এই আইনটি (বিইআরসি) সংশোধন করার অর্থই হচ্ছে, সরকার আরো বেশি একাধিকবার বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে বছরে জনগনের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে পারবে। মরার উপরে খাড়ার ঘা হিসেবে এই আইন সংশোধন করছে সরকার। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে কিছুদিন আগে ইআরসি গণশুনানী করেছে। তারা বলেছে যে, বিদ্যুত উৎপাদন নাকি ব্যয়, তারা যা বিক্রি করে তা থেকে তাদের লোকসান হয়ে যায়, সেটা পুরনের জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায়। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সেক্টর যে অবস্থায় ছিলো এই সরকার যদি নিজেদের লোভে ও কমিশনের জন্য অপকর্ম না করতো তাহলে বিদ্যুতের দাম অতীতে আমাদের সরকারের সময়ে গড়ে প্রতি ইউনিট আড়াই টাকা ছিলো, সেই অবস্থায় থাকতো। এখানে সরকার তাদের নিজেদের স্বার্থে কমিশন নেওয়ার জন্যে তিনটি কাজ করেছে। তারা ক্ষমতায় এসে বিদ্যুত সংক্রান্ত বিষয়ে একটি ইনডেমনিটি বিল পাস করেছে। যারা আওয়ামী সিন্ডিকেট বিদ্যুত ব্যবসায় আছে তাদের কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের স্থাপনের সুযোগ করে দিয়ে কুইক কমিশন নিয়েছে। আরেকটি তারা করেছে- দেশের ৮টি তেল ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করেছে যেগুলোতে আজকে সবচেয়ে বেশি লোকসান হচ্ছে।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার বলছে যে, বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হয়, এটাকে পুরণ করার জন্য তারা বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। আমরা বলতে চাই, তেল ভিত্তিক যেসব বিদ্যুত কেন্দ্র এবং কুইক রেন্টাল প্ল্যান্টগুলোকে উৎপাদন না করেও শুধুমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়া বাবদ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডকে গত বছর ১৫ হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছে। এবছর ২০ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। যদি ২০ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের ভাড়া না লাগত তাহলে এই বিদ্যুতে দাম বাড়াতে হতো না। আমরা এভাবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পায়তারাকে আমরা নিন্দা জানাই। শুধু সরকারের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, নৈরাজ্যের কারণে আজকে বিদ্যুতের এই অবস্থা। এসব বন্ধ হলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হয় না। সরকারকে বলব, এসব অব্যবস্থাপনা বন্ধ করুন, জনগণের ওপর আর চাপ সৃষ্টি করবেন না।
ইভিএমে কারচুপির আশঙ্কা করলেও সিটি নির্বাচনে বিএনপি মাঠ ছাড়বে না মন্তব্য করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তারা (ক্ষমতাসীনরা) যেসব কথা (নির্বাচনে থাকবো না) বলছে, এটা তাদের দূর্বলতা থেকে বলছে। নিজেরা এতো অপকর্ম করেছে এই নির্বাচন ও ভোটকে কেন্দ্র করে যে, আজকে নানাভাবে তারা অগ্রিম এসব কথা বলে উদোরপি-ি বুদোঁর ঘাড়ে চাপাতে চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা নির্বাচনে মাঠে থাকবো, আমরা অতীতেও ছিলাম। এখন তারা যা বলছে-এগুলো হচ্ছে কথার কথা। তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা আছে যে, ইভিএমের মাধ্যমে তারা ভোট ডাকাতি করবে। এখন আগে থেকে ভালো ভালো কথা বলে তারা চেষ্টা করছে একটাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য।
এ সময়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলার আহবায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবুল, আলমগীর মাহমুদ আলম, মোফাখারুল ইসলাম রানা, ফখরুউদ্দিন আহমেদ, আবুল হোসেন প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।