রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা
গুম হওয়ার দেড় বছর পর পুলিশের কাছে ধরা খেল সুভাষ পাল নামে এক ব্যক্তি। সে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের বিশ্বনাথ পালের ছেলে। গত রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা সদরের ঘারিন্দা বাইপাস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বিশ্বনাথ পাল ও তার ছেলে সুভাষ পাল ফতেপুর বাজারে প্রথমে একটি টিনের দোকান দেন। পরে বিভিন্ন এনজিও এবং এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে প্রায় কোটি টাকা ঋণ ও হাওলাদ নেন। একপর্যায়ে ঋণের বোঝা বাড়তে থাকলে গোপনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে বিশ্বনাথের ছেলে সুভাষ পাল ভারতে পাড়ি জমান। এদিকে পাওনাদাররা বিশ্বনাথকে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকলে তিনি কৌশলে পাওনাদার ও তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি ছেলে সুভাস পালকে গুম করার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি মির্জাপুর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারেন ঋণের দায়ে বিশ্বনাথের ছেলে সুভাষ ভারতে গিয়ে আত্মগোপন করেছেন। অপরদিকে সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী পাওনাদার সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাবিতে সুভাষের নামে গত ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর আদালতে মামলা করেন। এদিকে সুভাষ পাল ভারতে গোপনে দেশে ফিরে এসে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকেন। দীর্ঘ দেড় বছর পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের ঘারিন্দা বাইপাস এলাকা থেকে টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন। পরে সিরাজুলের করা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হিসেবে তাকে মির্জাপুর থানায় হস্তান্তর করে। এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, সুভাষ পাল একটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। এছাড়া সে গুম হয়েছে তার পিতার দায়ের করা একটি মামলায় গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে আত্মগোপনে ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।