Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মারা যাচ্ছে বুড়িগঙ্গা

নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা হাইকোর্টের

সাঈদ আহমেদ/সায়ীদ আবদুল মালিক | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

রাজধানী ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদী এখন প্রাণহীন। স্বচ্ছ পানির কল কল ঢেউ আর নদীর বুকে দেখা যায় না। কালো দুর্গন্ধযুক্ত দূষিত পানির এক নিথর মরা ‘নদী’ বুড়িগঙ্গা। নাব্য সংকট, বিভিন্ন কল-কারখানা ও ট্যানারির দূষিত বর্জ্য, কিছু মানুষের অবৈধ দখল, ঘর গৃহস্থালীসহ অন্যান্য ময়লা-আবর্জনা স্তুপ করে নদীতে ফেলা ইত্যাদি কারণে প্রতিনিয়ত বুড়িগঙ্গার পানির দূষণ বেড়েই চলেছে। সেই সাথে এক সময়ের প্রাণচঞ্চল স্রোতস্বিনী বুড়িগঙ্গা নদী এখন প্রাণহীন এক মরানদীতে পরিণত হয়েছে। যে নদী মাছে ভরপুর ছিল, এখন সেখানে থৈ থৈ করে শুধু বিষাক্ত কালো পানি।

বুড়িগঙ্গার প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বুড়িগঙ্গার তলদেশ থেকে ৮.৫০ লাখ ঘনমিটার বর্জ্য উত্তোলন করেছে। নদী দূষণের উৎসমুখ বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত করতেও কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। এত কিছুর পরও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে না বুড়িগঙ্গা। দিন দিন এ নদীর দূষণ বেড়েই চলছে।

আইন করেও ঠেকানো যাচ্ছে না বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণ। বুড়িগঙ্গা, তুরাগসহ দেশের সকল নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট। গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারি দেয়া হাইকোর্টের আদেশে নদী হত্যাকে মানুষ হত্যার মতোই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। ফলে নদী দখল, ভরাট, নদী দূষণ ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য। ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের মতে, মানুষ হত্যা করলে যে বিচার, নদী হত্যা করলে একই বিচার হবে। হাইকোর্টের এই নির্দেশনা মেনেই নদী রক্ষার আইন প্রণয়ন এবং পরিবর্তন করতে হবে। নদীর অস্তিত্ব বিনাশ করা নদী হত্যার শামিল অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করতে বলেছেন আদালত।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায় দেন। রায় বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ১৭ দফা নির্দেশনাও দেয়া হয়। এসব নির্দেশনার মধ্যে ছিলো, হাইকোর্টের রায়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো, নদী দখল ও দূষণকারীদের একটি তালিকা করে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা, নদী দখল ও দূষণকারীদের নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা, বাংলাদেশ ব্যাংক নোটিস জারি করে সব ব্যংককে নদী দখল ও দূষণকারীদের ঋণ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, নদী দখল ও দূষণের জন্য দায়ীদের অর্থেই নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণ, নদী ও জলাধার সংক্রান্ত কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে নদী কমিশনের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক করণ এবং নদী রক্ষায় জাতীয় নদী কমিশন সব নদীর আইনগত অভিভাবক ঘোষণা। হাইকোর্টের এ আদেশ ৬ মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বলা হয় সরকারকে।

হাইকোর্টের এই শক্ত রায়ের পরও যেন ক্রমশ মৃত্যুর দিকেই ধাবিত হচ্ছে ঢাকার প্রাণ বলে পরিচিত বুড়িগঙ্গা নদী। অনর্গল তরল বর্জ্য নিঃসরণে নদীটি পরিণত হচ্ছে নর্দমায়। ওয়াসার পয়ঃনিষ্কাশন লাইনগুলো পতিত হয়েছে বুড়িগঙ্গায়। অথচ এই বুড়িগঙ্গাকে ঘিরেই ৪শ’ বছর আগে ঢাকার নগরায়ন শুরু হয়েছিলো। কাল পরিক্রমায় সেই বুড়িগঙ্গা এখন শীর্ণকায় ক্ষীণ স্রোতাস্বিনী। বুড়িগঙ্গা তার খর স্রোতা রূপ হারিয়েছে নব্বইয়ের দশকেই। এটির পানিও আর ‘পানি’র সংজ্ঞায় পড়ে না। পরিণত হয়েছে বিষে। মাছ বিলুপ্ত হয়েছে বহু আগে। জীব বৈচিত্রও নেই। এ নদীর পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন প্রায় শূন্যের কোঠায়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে, মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী বসবাসের জন্য প্রতি লিটার পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ ৫ মিলিগ্রাম বা তার বেশি থাকা প্রয়োজন। অন্যদিকে দ্রবীভ‚ত হাইড্রোজেনের মাত্রা কমপক্ষে ৭ মিলিগ্রাম থাকা উচিত। অথচ বুড়িগঙ্গা নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ ২ মিলিগ্রামের মতো। এ অবস্থায় বুড়িগঙ্গায় প্রাণের অস্তিত্ব টিকে থাকার সুযোগ একে বারেই কম। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশের (ডবিøউবিবি) যৌথ উদ্যোগে বুড়িগঙ্গা নদীর পানির দূষণমাত্রা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে এ তথ্য। শিল্পবর্জ্য, পয়োবর্জ্যের দূষণে বিষাক্ত স্রোতস্বিনী বুড়িগঙ্গা। কোথাও মানুষরূপী সর্বগ্রাসী রাক্ষসের হিংস্র নখরে ক্ষতবিক্ষত। এ বাস্তবতায় বুড়িগঙ্গা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থাগুলো যেন কিছুই করতে পারছে না।

প্রায় ৬২ রকমের রাসায়নিক বর্জ্যে বিষাক্ত হয়ে গেছে বুড়িগঙ্গার পানি। বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। নদীর তলদেশে জমাট বেঁধেছে ৮ ফুট পুরু পলিথিনের স্তর। এর পানিতে অ্যান্টিবায়োটিকসহ হাসপাতালের বর্জ্যও মিশছে। বুড়িগঙ্গার দুই তীরের মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বুড়িগঙ্গার পানির রঙ এখন সবচেয়ে কালো। এই কালো পানির উৎকট গন্ধে নদীর পাড়ে দু’দন্ড দাঁড়ানো দায়। রাজধানী ঢাকার প্রাণরূপী বুড়িগঙ্গা এখন নগরবাসীর আবর্জনা ফেলার যেন ভাগাড়। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, বুড়িগঙ্গার বিষাক্ত পানি ও উৎকট গন্ধ থেকে আশপাশের এলাকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে চর্মরোগ, শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আনেক বেশি।

হাজারিবাগ থেকে পোস্তগোলা সেতু পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীর দুইপাড় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নদীর পানি কালো কুচকুচে। পানি থেকে ছড়াচ্ছে উৎকট দুর্গন্ধ। বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা যেন বুড়িগঙ্গায় স্থায়ী নিবাস গড়েছে। বুড়িগঙ্গার দুই পাড়ের মানুষের কাছে এই চিত্র এখন অনেকটাই সহনীয় হয়ে গেলেও তারা ভুগছেন নানারকম দূষিত পানিবাহিত রোগব্যাধিতে। এই পথে চলাচলকারীরা কোনোরকমে নাক-মুখ চেপে এখন যাতায়াত করেন।
বুড়িগঙ্গার পাড়ের মীরের বাগের বাসিন্দা রফিকুজ্জামান বলেন, পেশাগত কারণে প্রতিদিনই দুইবার করে বুড়িগঙ্গা পাড়ি দিতে হয়। এই পথে এতই দুর্গন্ধ যে দম (শ্বাস-প্রশ্বাস) নেয়া দায় হয়ে পড়ে।

সদরঘাট থেকে পোস্তগোলা সেতুর পূর্ব-উত্তরপাড় ধরে গড়ে উঠেছে সবজি-মসলার আড়ত, ইট-পাথর-রড়-কাঠের কারখানাসহ একাধিক বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এর পেছনে রয়েছে প্লাস্টিক কারখানা, রং তৈরির কারখানা, কাপড় ধোলাইয়ের মিলসহ একাধিক রাসায়নিক সংক্রান্ত কাজ-কারবার। অন্যদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ে (পোস্তগোলা থেকে কেরানীগঞ্জ) গড়ে ওঠেছে পোশাক তৈরির কারখানা, জাহাজ মেরামতের ডকইয়ার্ডসহ রাসায়নিক সংক্রান্ত একাধিক কারখানা। এ ছাড়া ঢাকা ওয়াসার পয়ঃনিষ্কাশনের পানিও এসে গড়িয়ে পড়ছে বুড়িগঙ্গার বুকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, এসব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং কল-কারখানার ময়লা-আবর্জনাগুলো সরাসরি বুড়িগঙ্গায় আসছে। দীর্ঘদিন ধরে এই চর্চা থাকায় বুড়িগঙ্গার পানি স্বাভাবিক থেকে কুচকুচে কালো রঙ ধারণ করেছে।
বুড়িগঙ্গার দূষণের মাত্রা কতটা বেড়েছে, তা পরিমাপ ও পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন। পবার একটি বিশেষজ্ঞ দল বুড়িগঙ্গার সদরঘাট থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন অংশের পানি পরীক্ষা করে। পবার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। নদীর বিশাল অংশের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ শূন্যের কাছাকাছি। সদরঘাট এলাকায় লিটার প্রতি দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন দশমিক ৪০ মিলিগ্রাম, ধোলাইখালে দশমিক ৩৮ মিলিগ্রাম, পোস্তাগোলা-শ্মশানঘাটে দশমিক ৫৫ মিলিগ্রাম, শ্যামপুর খালের ভাটিতে দশমিক ৬২ মিলিগ্রাম, পাগলা ওয়াসা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের নির্গমন ড্রেনের ভাটিতে দশমিক ৩৩ মিলিগ্রাম, পাগলা বাজার এলাকায় মাত্র দশমিক ৩০ মিলিগ্রাম দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন (ডিও) রয়েছে। আর গত বছর এ সময়ে পরিবেশ অধিদফতরের পরীক্ষায় প্রতি লিটার পানিতে দূষণের মাত্রা ছিল শূন্য দশমিক ৩৮ মিলিগ্রাম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীবাসীর পয়ঃবর্জ্য ও গৃহস্থালি বর্জ্য, ট্যানারিশিল্পের বর্জ্য, শিল্প-কারখানার বর্জ্য এবং নৌযানের বর্জ্য বুড়িগঙ্গা দূষণের অন্যতম কারণ। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকায় পয়ঃবর্জ্যরে পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ ঘনমিটার। এসব বর্জ্য পরিশোধনের জন্য এক লাখ ২০ হাজার ঘনমিটার পরিশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন পাগলায় ওয়াসার পরিশোধনাগার রয়েছে, যেখানে মাত্র ৫০ হাজার ঘনমিটার পরিশোধন করা হচ্ছে। বাকি ১২ লাখ ৫০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। ফলে নদীর পানির গুণগতমানের অবনতি, মাছ ও জলজ প্রাণীর ক্ষতি, শিল্প-বাণিজ্য, কৃষি ও গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার অনুপযোগী এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্যানারিশিল্প থেকে দৈনিক ২১ হাজার কিউবিক মিটার অপরিশোধিত বর্জ্য নদীতে পড়ছে। এসব বর্জ্যে ক্রোমিয়াম, সিসা, সালফিউরিক এসিড, পশুর গোশতসহ ক্ষতিকর পদার্থ রয়েছে। ট্যানারি থেকে নির্গত এসব বিষাক্ত তরল ও কঠিন বর্জ্য বুড়িগঙ্গার পানির পাশাপাশি এর তলদেশ, তীরের মাটি ও বাতাসকে বিষিয়ে তুলছে।

এ ব্যাপারে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীকে গিলে খাচ্ছে পলিথিন, ট্যানারিসহ শিল্প-কারখানার বিষাক্ত কেমিক্যাল ও বর্জ্য, হাসপাতাল-ক্লিনিকের পরিত্যক্ত কেমিক্যাল, লঞ্চ-জাহাজের পোড়া তেল, মবিল, ওয়াসার পয়ঃবর্জ্য, গৃহস্থালি বর্জ্য ও নদীর পাড়ে নির্মিত কাঁচা পায়খানা।

নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন ১০ হাজার ঘনমিটারের বেশি বর্জ্য সরাসরি ফেলা হচ্ছে বুড়িগঙ্গা নদীতে। এ ছাড়া নদীর তলদেশে জমা হয়েছে ৮ ফুট পুরু পলিথিনের স্তর।
অথচ ২০/৩০ বছর আগেও সকাল-সন্ধ্যায় ঢাকার মানুষ চলে যেত বুড়িগঙ্গার নির্মল বায়ু সেবনের জন্য। অনেকে নৌকা ভাড়া করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরে বেড়াত নদীর বুকে। সেই সদরঘাট, সোয়ারীঘাট ও বাকল্যান্ড বাঁধের ধারে ভ্রমণ আর নির্মল বায়ু সেবন এখন অকল্পনীয়।

বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে কাজ করছে বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠন। পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), রিভারাইন পিপল সব সংগঠনের অন্যতম। সংগঠনগুলো কাজ করছে নদ-নদী রক্ষার তাগিদে। তারা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি আইনগত লড়াইও চালাচ্ছে। একের পর এক রিট করছে। কিন্তু বুড়িগঙ্গা রক্ষা, দূষণ রোধ এবং স্বাভাবিক প্রবাহ ফেরানোর চেষ্টার ফলাফল এখনো বলতে গেলে শূন্য। বুড়িগঙ্গা এখন ক্ষয়িষ্ণু।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বুড়িগঙ্গা দূষণের জন্য প্রধানত : দায়ী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান ইটিপি (বর্জ্য শোধনাগার) ছাড়াই চলছে। ফলে তার দূষিত তরল বর্জ্য সরাসরি পড়ছে নদীতে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে বারবার অভিযান চালিয়েও দূষণ বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। অভিযান চালিয়ে নদীদূষণের জন্য দায়ী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানাও করা হচ্ছে। পরিবেশ আইনে মামলা করা হলেও ওই সব মামলায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে এমন নজির নেই। আর এ কারণেই শুধু জরিমানা পরিশোধের পাশাপাশি তারা দূষণও অব্যাহত রেখেছেন। #



 

Show all comments
  • Sreebash Kumar Das ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৫ এএম says : 0
    এই তুরাগের আবর্জনার পচা যখন আমাদের এলাকার বেলাই বিলে আসে তখন সব মাছে ঘা হয়ে যায়, মারা যায়। তারপর সেই মাছ এলাকার কেও আর খায় না, ঢাকায় পাচার করে দেই। :D :D :D ঢাকার ময়লা তুলে দেই আমরা ঢাকাবাসীর পাকস্থলীতে!
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Alamgir ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৫ এএম says : 0
    গাছের যদি জীবন থাকে তো নদীর ও জীবন আাছে .. এখানে গাছের জীবন্ত সত্তা বলতে বুঝিয়েছে যে নদী দখলের কারণে নদী৥গুলো কমায় চলে গিয়েছিলো এখন চিকিৎসার মাধ্যমে মানে নদী দখল মুক্ত করে তার জীবন্ত সত্তা ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে ..তাই নদীগুলোজীবন্ত সত্তার অধিকারী
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad Khorshed ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৫ এএম says : 0
    নদী মারা গেলে সরকারের কি!? সরকার ব্যস্ত লুটপাট আর বিদেশে কিভাবে আরো বেশি বেশি টাকা পাচার করা যায় তা নিয়ে।
    Total Reply(0) Reply
  • Subrata Barua ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
    বয়ে চলার প্রবণতাই নদীর ‘জীবন্ত সত্তা’র’ বহিঃপ্রকাশ। মানুষ, যারা এটাকে ব্যবহার করে উপকৃত হয়- তাদের নিজেদের স্বার্থে, নদীর গতি রোধ করে, নদীর বয়ে চলার অধিকার হনন কারা উচিত নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Rasel Sarker ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
    এদেশে প্রতিদিন নতুন নতুন সমস্যা সমাধানের জন্য ঘোষনা পাবেন কিন্তুু সমাধান হয় না, এসব ঘোষনা পাবলিক আর খায় না,
    Total Reply(0) Reply
  • Ziared Rahman ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
    বাংলাদেশের নদী মরে গেছে কারন খাল বা ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া, নদী কে বাঁচাতে হলে আগে খাল খনন করতে হবে কারন নদীর চ্রত নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Shohag Khan ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৭ এএম says : 0
    তুরাগ আর বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানো দরকার। এই দুইটা নদী ঢাকার প্রাণ, ঢাকার মা।
    Total Reply(0) Reply
  • Thee Md Sharif ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৭ এএম says : 0
    নদীও জীবিত, নদী পলিথিন, প্লাস্টিকের সব পন্য, পয়ঃনিষ্কাশনের সব কিছু, বিষাক্ত ইন্ডাস্ট্রির বর্জ্য ইত্যাদি খেতে পারেন। যেমন কিছু নেতা নামধারীরা নদী খেয়ে খালা, খাল খেয়ে সরু নালি বানিয়ে দেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নদী

২৬ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ