মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিরোধী দলীয় নেতা আবদুল মান্নান তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। যৌথ আন্দোলন করতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন।
এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আগেই রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেসসহ একাধিক রাজনৈতিক দল। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মিটিং-মিছিল করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস যৌথভাবে কলকাতায় বিশাল মিছিল করেছে। এবার বিজেপি বিরোধী সব রাজনৈতিক দল, গণসংগঠন, মঞ্চগুলোকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের পক্ষে মাঠে নামলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তিনি এই আন্দোলনে তৃণমূলকেও সঙ্গে চান।
২০১৯ সালের শেষ দিনে বিধানসভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করে আবদুল মান্নান বলেন, ‘বিজেপি বাদে সবাই এনআরসির বিরোধিতা করে আন্দোলন করছে। তৃণমূল যেমন করছে, তেমনি বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসও করছে। বিজেপি বাদে সব রাজনৈতিক দল, গণসংগঠন, এনজিও এক ছাতার তলায় এসে একসঙ্গে আন্দোলন করতে পারলে অন্য বার্তা দিতে পারব।’
ওই বৈঠকে সর্বদলীয় সভা এবং যৌথ আন্দোলনের আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চিঠি দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন মান্নান। তৃণমূল রাজ্যের শাসকদল। কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দলের ভ‚মিকায় রয়েছে। কিন্তু এনআরসি ইস্যুতে একসঙ্গে আসা উচিত বলে মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলীয় নেতা। কিছু দিন আগে খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থনের কথা উল্লেখ করে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন মান্নান।
এবার এনআরসি প্রসঙ্গে যৌথ আন্দোলন চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার প্রসঙ্গেও দলের ভেতরে দুই সুর শোনা যাচ্ছে। কংগ্রেসের এক অংশের বক্তব্য, তৃণমূলের সঙ্গে রাজ্যে লড়াই চলছে। তাই সিপিএমকে সঙ্গে নিয়েই আন্দোলন চালানো উচিত। যদিও মুখ্যমন্ত্রীকে এই চিঠি পাঠানোর আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রকে জানিয়েছেন বলে দাবি মান্নানের।
এ বিষয়ে সোমেন মিত্র বলেছেন, ‘আবদুল মান্নান শুধু আমাকে বলেছিলেন। তিনি সর্বদল বৈঠকের কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।’ এ প্রসঙ্গে বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আবদুল মান্নানের চিঠির বিষয়টি আমি জানি। রাজ্য সরকার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুক, এটাই দাবি।’ সূত্র : রিপাবলিক ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।