Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যুদ্ধ না, শান্তি চাই : ট্রাম্প

দূতাবাসে হামলার পর আরো ৪ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

ইরানের বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধ চাওয়া তো দ‚রের কথা এ নিয়ে কোনো ভবিষ্যদ্বাণীও করছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাগদাদে মার্কিন দ‚তাবাসে ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের হামলা ও ভাঙচুরের পর এমন মন্তব্য করলেন তিনি। ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কোনো যুদ্ধে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, আমি এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে বলে দেখতে পাচ্ছি না। নিউ ইয়র্কে খ্রিস্টীয় নববর্ষ উদযাপনে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি শান্তি পছন্দ করি। এর আগে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা বাগদাদে মার্কিন দ‚তাবাসের একটি নিরাপত্তা চৌকিতে অগ্নিসংযোগ ও পাথর নিক্ষেপ করেছেন। এতে তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা প্রহরীদের মুখোমুখি সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রয়োজন অনুসারে চার হাজার সেনা অঞ্চলটিতে পাঠানো হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতিকে নতুন চ্যালেঞ্জে ঠেলে দিয়েছে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা। ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছেন আগামী বছরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচন করতে যাওয়া ট্রাম্প। যদিও উপসাগরীয় দেশটির বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাচ্ছেন না বলে পরবর্তী সময়ে স্বীকার করেছেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দ‚তাবাসের ভেতর ক‚টনীতিকরা নিরাপদে রয়েছেন। তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে স্টান গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছেন দ‚তাবাসের নিরাপত্তা কর্মীরা। তারা প্রধান ফটকের নিরাপত্তা চৌকিতে অগ্নিসংযোগ করেছেন। কিন্তু দ‚তাবাসের ম‚ল কম্পাউন্ডে প্রবেশ করেননি। পেন্টাগন বলছে, দ‚তাবাস কর্মকর্তাদের রক্ষায় অতিরিক্ত মেরিন সেনা পাঠানো হয়েছে। ৮২তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনের সাড়ে সাতশ সেনাকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এসব অতিরিক্ত সেনাকে মোতায়েনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার বলেন, মার্কিন স্থাপনা ও নাগরিকদের বিরুদ্ধে হুমকির মাত্রা বাড়তে থাকায় যথাযথ এবং অতিরিক্ত সতর্কতাম‚লক পদক্ষেপ হিসেবে এই সেনা মোতায়েন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, এই সাড়ে সাতশ সেনা বর্তমানে কুয়েতে অবস্থান করবেন। প্রয়োজন অনুসারে চার হাজার সেনা অঞ্চলটিতে পাঠানো হবে। স্থানীয় বাহিনীকে সমর্থন করতে পাঁচ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা বর্তমানে ইরাকে অবস্থান করছে। মিলিশিয়াদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যাযজ্ঞের পর ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ হঠাৎ করেই নতুন উত্তেজনা পেয়েছে। বর্তমানে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানিতে রয়েছে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইরাকে হামলা চালায়। তখনকার প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করে হত্যা করলেও দেশটিতে আর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। রয়টার্স।



 

Show all comments
  • জাহিদুল ইসলাম কামাল ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৪২ এএম says : 0
    যুদ্ধবাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনো ইরান এবং উত্তর কোরিয়ায় হামলা করতে সাহস পাবেনা! কারণ আরবের ওহাবী রাজতান্ত্রিক গাধা দের মতো নয় ইরান, ওদের আত্মসম্মান বোধ আছে , আঘাতের বদলে আঘাত দিতে জানে।
    Total Reply(0) Reply
  • জাহিদুল ইসলাম কামাল ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৪২ এএম says : 0
    যুদ্ধবাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনো ইরান এবং উত্তর কোরিয়ায় হামলা করতে সাহস পাবেনা! কারণ আরবের ওহাবী রাজতান্ত্রিক গাধা দের মতো নয় ইরান, ওদের আত্মসম্মান বোধ আছে , আঘাতের বদলে আঘাত দিতে জানে।
    Total Reply(0) Reply
  • Zi Kamal ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১৮ এএম says : 0
    উত্তর কোরিয়া এবং ইরানে হামলা করার মতো যোগ্যতা এখনো হয়নি আমেরিকার।
    Total Reply(0) Reply
  • Mlr Lalin ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১৯ এএম says : 0
    এবার নোবেল ঠ্যাকায় কে
    Total Reply(0) Reply
  • Shohidu Islam ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১৯ এএম says : 0
    ইরানকে তুই কি আফগানিস্তান পাইছস যে মন চাইলো আর যুদ্ধ করলাম ইরানেত একটা লোমও সোজা করতে পারবি না
    Total Reply(0) Reply
  • Md Arshil Azim Rubel ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১:২২ এএম says : 0
    এটা বিশ্বযুদ্ধের আলামত, প্রস্তুত থাকতে হবে,অবশ্যই পুর পৃথিবী বিশৃঙ্খলা ও বিপর্যয়গ্রস্ত হবে।যুদ্ধের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে।চীন কিংবা রাশিয়া কাউকেই বিশ্বাস করা যাবে না।ইতিহাস সাক্ষি মুসলিমরা যতগুলো যুদ্ধে ইউরোপ কিংবা পশ্চিমাদের সাহায্য নিয়েছে সে সব যুদ্ধে হেরেছে।যুদ্ধ পশ্চিমাদের লোভনীয় ব্যবসা।
    Total Reply(0) Reply
  • Ruhul At ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১:২২ এএম says : 0
    এই মুহুর্তে আমেরিকার সমুস্ত ঘাটি গুলোকে গুড়িয়ে দেওয়া দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • Mosharaf Hossain ২ জানুয়ারি, ২০২০, ১:২২ এএম says : 0
    তারা কি মধ্যপ্রাচ্য কে কোন দিনই শান্তিতে থাকতে দিবে না?তাদের এই নোংরামির জন্যই সন্ত্রাস সৃস্টি হচ্ছে আবার নিজেরাই ব্যাবহার করছে সন্ত্রাসী সংঘটন গুলি, আমরা আমেরিকান এই ন্যাক্কার জনক নিতি কে প্রচন্ড ঘৃণা করি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ