মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন বিল (সিএএ) পাশ হওয়ার পর জোর করে সন্দেহভাজন বাংলাদেশীদের পুশ না করার ব্যাপারে দেশটির সরকারের কাছ থেকে লিখিত নিশ্চয়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। একাধিক সূত্রের বরাতে এ খবর দিয়েছে দ্য প্রিন্ট।
খবরে বলা হয়, ভারতের বিতর্কিত নাগরিকপঞ্জী নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার ভারতের বিষয়ে ‘নরম’ আচরণ করছে বলে সমালোচনা আছে দেশে। আর এমন সময়ই বাংলাদেশ থেকে লিখিত নিশ্চয়তা চাওয়া হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, আসামে নাগরিকপঞ্জী বাস্তবায়নের কয়েক মাস পর অক্টোবরে হাসিনা ব্যক্তিগত সফরে ভারত গেলে তখনও বাংলাদেশ সরকার থেকে এই ধরনের দাবি জানানো হয়। তখন ভারত মৌখিক আশ্বাস দেয় যে, নাগরিকপঞ্জীতে যারা ‘বিদেশী’ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে, তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে না। তবে তখনও ভারত লিখিত নিশ্চয়তা দিতে রাজি হয়নি। তখন ভারতের যুক্তি ছিল, এই নাগরিকপঞ্জী করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী।
এই মাসে পার্লামেন্টে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দেয়।
অনেকেই মনে করেন যে, এই বিলের অধীনে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে মুসলিমদের হয়তো ঠেলে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করবে ভারত। এখন বাংলাদেশের যুক্তি হলো, যেহেতু এখানে আদালতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, সুতরাং লিখিত নিশ্চয়তা দেওয়া খুব কঠিন কিছু হবে না। কিন্তু ভারত তারপরও এমন কোনো ইঙ্গিত দেয়নি যে, এক্ষেত্রে কোনো স্বার্বভৌম নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।
নাগরিকত্ব বিলের সংশোধনী অনুযায়ী, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিম শরনার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। এ নিয়ে দেশটিতে ব্যপক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকের আশঙ্কা, নাগরিকত্ব বিল ও নাগরিকপঞ্জী- এই দুইয়ে মিলে মুসলিমদের টার্গেট করা হতে পারে।
এদিকে গত রোববার বিজিবি প্রধান শাফিনুল ইসলাম ভারত সফর করেন। সেখানে মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত বৈঠকে অংশ নেন তিনি। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নাগরিকপঞ্জী ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে এ নিয়ে চাপে আছে শেখ হাসিনা সরকার। বিরোধীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার পরও কেন তার সরকার ভারত থেকে এই ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা আনতে পারছে না। সম্প্রতি ভারত ৬০ বাংলাদেশীকে বেঙ্গালুরু থেকে ধরে কলকাতা হয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়ার খবরে ঢাকায় অস্বস্তি আরও বেড়েছে। এমনকি, এ মাসের শুরুতে এক জ্যেষ্ঠ বাংলাদেশী কূটনীতিক গুয়াহাটিতে হামলার শিকার হন। নাগরিকত্ব বিল নিয়ে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান তাদের পূর্বনির্ধারিত ভারত সফর বাতিল করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।