বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার উত্তর হাইদগাঁও গ্রামে গত শুক্রবার রাত ১১টায় গাছের সাথে বেঁধে ফার্নিচার ব্যবসায়ী নুরুল আবছার হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি নুরুল আবছারের প্রেমিকা রোকেয়া বেগমকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। ইতঃপূর্বে পুলিশ রোকেয়া বেগমের স্বামী মো: লোকমান হাকিম (৪৫) ও ভাসুর মো: আব্দুল মান্নানকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে। তাদের গতকাল রোববার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম সরকার কোর্টে প্রেরণ করলে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে নুরুল আবছার হত্যাকাÐের পর লোকমান হাকিমের স্ত্রী রোকেয়া বেগম পালিয়ে যায়। সূত্র জানিয়েছে, রোকেয়া বেগম ঘটনার পরপরই খরনা ইউনিয়নের লালারখীল গ্রামে ছোট বোন রুবি আকতারের বাড়িতে চলে যায়। ধৃত আসামি রোকেয়ার স্বামী লোকমান হাকিম জানান, বিগত দুই-তিন বছর যাবত নুরুল আবছার রোকেয়ার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় রোকেয়ার ছোট বোন রুবি আকতারের শ্বশুরবাড়ি লালারখীল গ্রামে আবছারকে নিয়ে রুবির বাড়িতে অবস্থান করত। রোকেয়ার দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে। লোকমান হাকিম নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজার আল্লাহরদান মসজিদের মুয়া্িজ্জনের চাকরি করতেন। সে সুবাদে অবিবাহিত নুরুল আবছার রোকেয়ার সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। রোকেয়ার ছোট বোন রুবি আকতারের শ্বশুরবাড়ি লালারখীল গ্রামে। তার স্বামীর নাম মো: আলী। সে বিদেশে থাকে। রুবির দুই ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে। রুবিকে গ্রেফতার করলে রোকেয়ার সন্ধান পাওয়া যাবে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছে। নুরুল আবছারের পরকীয়া প্রেমের ঘটনা নিয়ে বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে ভয় দেখানোর জন্য পাড়ার লোকজন পিটুনি দিলে সে আহত হয়ে মারা যায় বলে গ্রেফতারকৃত লোকমান হাকিম জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।