পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তীব্র শীতে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরের শুটকি পল্লীতে বন্ধ হয়ে গেছে মাছ ধরা। শীতে একসপ্তাহ ধরে জেলেরা সাগরে যেতে পারছে না। সমস্ত নৌকা ও ট্রলার এখন কূলে অবস্থান করছে। এছাড়া অসময়ের বৃষ্টিতে কয়েক কোটি টাকার শুটকি নষ্ট হয়ে গেছে। বৈরী আবহাওয়া এবছর সরকারি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা করছে বন বিভাগ।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত বছর শুটকি মৌসুমের পাঁচ মাসে শুধুমাত্র দুবলার শুটকি খাত থেকে দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে বনবিভাগ।মৌসুমের প্রথম মাসে (নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে চরের জেলেঘর বিধ্বস্তসহ শুটকির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ওই মাসে মাত্র ২৬ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। চলতি মাসেও (ডিসেম্বর) বৃষ্টিতে অনেক মাছ নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া তীব্র শীতে মাছ ধরতে না পারায় ব্যাপক লোকসান হবে মহাজন জেলে ও বনবিভাগের।
দুবলার চরের জেলে সংগঠন ফিশারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল আহমেদ জানান, এক সপ্তাহ ধরে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে।প্রচ- শীতে সাগর ছেড়ে সমস্ত জেলে শুটকি পল্লীর বাসায় অবস্থান করছে। মাছ না থাকায় শুটকি পল্লীর মাচাগুলো খালি পড়ে আছে। তাছাড়া, বৃষ্টিতে চারটি চরের কয়েক কোটি টাকার মাছ পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
পূর্ব বনবভিাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, দুবলার জেলেপল্লী টহল ফাঁড়ির আওয়াতায় এবছর শুটকি উৎপাদনের জন্য অফিসকিল্লা, আলোরকোল, নারকেলবাড়িয়া, শেলারচরসহ চারটি চরে বনবিভাগ থেকে ৯০০জেলে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।এসব চরে প্রায় ১২হাজার জেলে শুটকি তৈরীতে নিয়োজিত রয়েছে। মৌসুমের শুরুতে এবং মাঝামাঝি এসে কয়েক দফা দুর্যোগে অনেক ক্ষতি হয়েছে শুটকি পল্লীর।
যার ফলে, এবছর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা তিন কোটি টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা পুরণ হবেনা বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।