নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শেখ রাসেল, মুক্তিযোদ্ধা ও মোহামেডান- তিন দলের পয়েন্টই সমান পাঁচ করে। ফেডারেশন কাপের ডি-গ্রুপ থেকে দু’টি দলকে নির্বাচন করতে গিয়ে গতকাল গলদঘর্ম হতে হয়েছে রেফারিজ কমিটিকে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা হলদু কার্ড দেখেই সমাধান দেন। ফুটবলারদের চারটি হলুদ কার্ড থাকায় বিদায় নিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। আর একটি কম থাকায় ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে গেছে মোহামেডান। তবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ণ নির্ধারন করতে গিয়ে আরেকবার ভাবনায় পড়েন তারা। এবার অবশ্য বেশি গোল দেয়ার সুবাদে মুক্তিযোদ্ধাকেই ডি-গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল ঘোষণা করা হয়। রানার্সআপ দল হিসেবে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে সাদা কালো শিবির।
গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মোহামেডানের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। দুই উইং দিয়ে একের পর এক আক্রমণ করেছে তারা। ফল পেয়েছে ম্যাচের মাত্র আট মিনিটেই। আমির হাকিম বাপ্পীর থ্রæ থেকে মালির স্ট্রাইকার সোলেমানে দিয়াবাতে বক্সে ঢুকে ফাঁকায় গোলকিপার আজাদ হোসেনের পাশ দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন (১-০)। পরে অবশ্য গোল ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি ২০০৯ সালে সর্বশেষ এই শিরোপা জেতা দলটি। আরিফ-মিঠুরা নষ্ট করেছেন একাধিক সুযোগ। বরং ৩৯ মিনিটে বারিধারা ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিতও দেয়। কিন্তু সামিন ইয়াসির জুয়েলের শট ক্রস বারে লেগে ফিরে আসলে সমতায় ফেরা হয়নি।
বিরতির পর আক্রমণ অব্যহত থাকে মোহামেডানের। কিন্তু এই অর্ধে গোল বঞ্চিত থাকতে হয়েছে। ৭৬ মিনিটে কর্নার থেকে নাইজেরিয়ার স্টেনলি ওনি কাচি আমাদির হেড ক্রস বারে প্রতিহত হয়। মিনিট চারেক পর আরেক নাইজেরিয়ান উগোচুকো ওবির শট গোলকিপার ঝাপিয়ে পড়ে রক্ষা করলে এক গোল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ব্রিটিশ কোচ শন লেনের দলকে।
একই ভেন্যুতে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে কোয়ার্টার ফাইনালের সিঁড়িকে জটিল করে তোলে শেখ রাসেল ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। শেষে অবশ্য কার্ডের বিবেচনায় বাদ পড়ে শেখ রাসেল। আর গোল ব্যবধানে গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয় মুক্তিযোদ্ধা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।