মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রাজধানী দিল্লিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবারের মতো এবারও বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু ছিল দিল্লির জামে মসজিদ প্রাঙ্গন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা বিক্ষোভে অংশ নেন। পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গতকাল আরো বিক্ষোভ হয়েছে ভারতের বহু রাজ্যে। বিশেষ করে মুম্বাই ও কলকাতায় বিক্ষোভ ছিল চোখে পড়ার মতো।
জুমার নামাজের পর বিক্ষোভের আশঙ্কায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষেèৗসহ ২১ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়। রাজধানী দিল্লিসহ বিভিন্ন স্থানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। কোথাও কোথাও সমাবেশ-জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। উত্তর প্রদেশে এই নিষেধাজ্ঞা এক সপ্তাহ ধরে জারি রয়েছে। এসব বিধিনিষেধ সত্ত্বেও জুমার নামাজের পর দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ে বড় ধরনের বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
দিল্লি জামে মসজিদে গতকাল বাদ জুমা শীত ও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেন মুসল্লিরা। তারা বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সেøাগান দেন।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, এই দেশের এনআরসি, এনপিআর প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন চাকরি। প্রয়োজন শান্তি ও সৌহার্দ্য। বিক্ষোভকারীদের হাতে বিভিন্ন সেøাগান লেখা প্ল্যাকার্ডও ছিল। কয়েকটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল সহিংসতা পরিহার করে অহিংস প্রতিবাদ করার আহ্বান। কংগ্রেস নেতা অলকা লাম্বা ও দিল্লির সাবেক এমএলএ শোয়েব ইকবাল বিক্ষোভে যোগ দেন।
জামে মসজিদ এলাকা ছাড়াও দিল্লির বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। ভিম আর্মি প্রধান চন্দ্র শেখর আজাদের মুক্তির দাবিতে একটি মিছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনের দিকে এগিয়ে গেলে লোক কল্যাণ মার্গে প্রবেশ ও বের হওয়ার ফটক বন্ধ করে দেয় দিল্লি মেট্রো রেল করপোরেশন। গত শুক্রবার বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ায় গ্রেফতার করা হয় আজাদকে। ওই দিন জুমার নামাজ শেষ হতেই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে জামে মসজিদ চত্বর। ভীম আর্মির তরফে জামে মসজিদ থেকে যন্তরমন্তর পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা না পাওয়ায় মসজিদের সামনের রাস্তাতেই উত্তাল বিক্ষোভ শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন ভিম আর্মির প্রধান। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লির তিনটি মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ ও বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় রাজধানীর মেট্রো পরিষেবা। হাতে সংবিধান নিয়ে বক্তৃতা শুরু করতেই চন্দ্রশেখর আজাদকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। পরে পালিয়ে যান চন্দ্রশেখর। যদিও পরে আবার পুলিশ তাকে আটক করেছে।
‘মরে গেলেও রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প নয়’, নৈহাটিতে চরম হুঁশিয়ারি মমতার
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বছরশেষে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল। যেখানে যা কিছু কর্মসূচি, তার মূল কেন্দ্রেই রয়েছে সিএএ বিরোধী সুর। নৈহাটি উৎসবের উদ্বোধনেও তার ব্যতিক্রম হল না। সেখানেও নয়া বিতর্কিত বিল নিয়ে উচ্চকণ্ঠে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, ‘এ রাজ্যের ক্ষমতায় আছি আমরা। মনে রাখবেন, এখানে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না। মরে যাব, তবু ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। আসামে ডিটেনশন ক্যাম্প হয়েছিল। কারণ, বিজেপি ছিল সরকারে।’
এদিনের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। মনে করিয়ে দেন যে, তিনি প্রথম যাদবপুর কেন্দ্রের সাংসদ হওয়ার পর সেখানকার উদ্বাস্তু বাসিন্দাদের আবেদন প্রাধান্য দিয়ে জমির দলিল তুলে দিয়েছিলেন নিঃশর্তে। কেন্দ্রের আগে রাজ্য সরকারই উদ্বাস্তুদের ‘নাগরিক’ বলে সম্মান দিয়েছিল। বাংলার সমস্ত উদ্বাস্তু কলোনিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এরপরই তিনি বক্তব্যের অভিমুখ সরাসরি নিয়ে যান এনআরসি, সিএএ›র দিকে। বলেন, ‘নতুন আইন কী বলছে, জেনে রাখুন। আপনি ছিলেন ভারতবাসী, হয়ে যাবেন বিদেশি। তারপর আবার আপনাকে নতুন করে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে। ওঁরা ওঁদের ইচ্ছেমত কাউকে নাগরিকত্ব দেবে, কাউকে দেবে না।’ তিনি এও বলেন, ‘রেশন কার্ড আছে, ভোটার কার্ড আছে। সবাই নাগরিক। ডেমোক্র্যাসি মানে সবাই নাগরিক, রাজা বলে কেউ নেই।’
নাম না করে বিজেপির উদ্দেশে মমতা এও বলেন, ‘আমাকে আইন বেশি বুঝিয়ে লাভ নেই। আমি সাতবারের সাংসদ। বহু মন্ত্রক সামলেছি। আইন, সংবিধান সব আমিও জানি। যখন এনপিআর করবে বলে জানিয়েছিল, তখন ভেবেছিলাম সাধারণ শুমারি হবে। কিন্তু তারপর দেখলাম যে আইনটাই পালটে দিচ্ছে। তাহলে আমি কেন এনপিআর করব?’ নৈহাটি এলাকায় তৃণমূলের কী পরিস্থিতি ছিল, সেই অতীত দিনের কথাও এদিন স্মরণ করেন মমতা। আসলে উত্তর ২৪ পরগনার এই বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে কয়েকটি পুরসভা সম্প্রতিই পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে রাজ্যের শাসকদল। যাতে থাবা বসিয়েছিল বিজেপি। তাই রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, এই পরিস্থিতিতে নৈহাটিতে সশরীরে গিয়ে মমতার এই উৎসবের উদ্বোধন অন্য অর্থেও বেশ ইঙ্গিতবাহী।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ ও সমর্থনে মুম্বইয়ে ৪ কিমির মধ্যে দু’টি মিছিল
নতুন নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসি নিয়ে গতকাল মুম্বাইয়ে দু’টি বিপরীতধর্মী মিছিল বের হল। দু’টি মিছিলের ঘটনাস্থল কাছাকাছি। দক্ষিণ মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সামিল হয় শিক্ষার্থী ও সমাজকর্মীরা। তার থেকে চার কিলোমিটার দূরে আগস্ট ক্রান্তি ময়দানে এই আইনের সমর্থনে বিপুল জমায়েত হয়। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় মিছিলে যোগ দেয়া এক ব্যক্তি জানান, নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও এনআরপি-র সম্মিলিত ফল নোটবন্দিরই পুনরাবৃত্তি হবে।
আজাদ ময়দানে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, এনআরসি ও এনপিআর কেবল ধর্মীয় ইস্যুই নয়, এটা সকলকে প্রভাবিত করবে। আমরা নোটবন্দি পার্ট ২ চাই না।’ আর এক শিক্ষার্থীর বক্তব্য, ‘এনপিআর এনআরসির প্রথম ধাপ। আমাদের বোকা বানানো হচ্ছে। প্রতিবাদ থামবে না। যতদিন না এই আইন বাতিল হচ্ছে আন্দোলন চলবে।’
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক প্রতিবাদী জানিয়েছেন, ‘এটা এই সরকারের দায়িত্ব সকলকে রক্ষা করা এবং সংবিধানের বিরোধিতা না করা।’
আজাদ ময়দানে বহু অভিনেতা ও সেলেব্রিটিও যোগ দেন।
এদিকে আগস্ট ক্রান্তি ময়দানে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে মিছিল বের হয় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বীর সাভারকারের নাতি রণজিৎ সাভারকার। মিছিলে ভারতীয় পতাকার পাশাপাশি বীর সাভারকারের পোস্টারও ছিল। গত সপ্তাহে এই আগস্ট ক্রান্তি ময়দানে প্রতিবাদ মিছিল বের করেছিল হাজার হাজার শিক্ষার্থী। মুম্বাই ছাড়াও দিল্লি ও কলকাতাতেও গতকাল নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মিছিল বের করা হয়।
পাকিস্তান থেকে আসত আলিয়া-মালিয়া-জামালিয়া : অমিত শাহ
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বিরোধী দল কংগ্রেসকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, এর আগে আলিয়া-মালিয়া-জামালিয়া পাকিস্তান থেকে প্রতিদিন আসত এবং ভারতীয় সেনাদের হত্যা করত। বিজেপি ক্ষমতায় এসে তা থামিয়েছে।
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হিমাচলে ক্ষমতায় আসার দু’বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে শিমলায় আয়োজিত এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদির সরকার সেখানে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে পেরেছে। অমিত শাহ বলেন, ‘কংগ্রেস ১০ বছর শাসন করেছে। ক্ষমতায় ছিলো সোনিয়া গান্ধী-মনমোহন সিং সরকার। প্রতিদিন পাকিস্তান থেকে আলিয়া-মালিয়া-জামালিয়া আসত। আমাদের জওয়ানদের মাথা কেটে নিয়ে যেত। নীরব থাকতেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা সীমান্ত খুলে রাখত। যখন নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এলেন, পাকিস্তান ভেবেছিল আগের মতোই চলবে। তারা বুঝতে পারেনি, এটা কংগ্রেস সরকার নয়। এটা বিজেপি সরকার। মৌনিবাবা মনমোহন সিং আর প্রধানমন্ত্রী নন, ৫৬ ইঞ্চির ছাতি নরেন্দ্র মোদির। উরি, পুলওয়ামায় হামলা চালিয়ে তারা বিরাট বড় ভুল করেছে। মোদি সরকার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বিমান হানা করে দেখিয়ে দিয়েছে। তাদের ঘরে ঢুকে সেখানকার জঙ্গিদের ওপর আমরা হামলা চালিয়েছি।
এনপিআর, এনআরসি ও সিএএ নিয়ে চলমান বিতর্ক ও বিক্ষোভের মধ্যেই অমিত শাহ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হবে না। কংগ্রেস ও তাদের সঙ্গীরা গুজব ছড়াচ্ছে যে, সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হবে। আমি রাহুল বাবাকে চ্যালেঞ্জ করছি যে, আইনটির কোনও ধারায় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছে তা দেখিয়ে দিতে।
দেশ ছাড়তে বলা হল নরওয়ের পর্যটককে : নরওয়ে থেকে এদেশে আসা এক পর্যটক ফেসবুকে নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। গতকাল তিনি জানালেন ওই পোস্টের কারণে তাকে ভারত ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। অন্যথায় ফল ভুগতে হবে বলেহুমকিও দেয়া হয়। ইমিগ্রেশন ব্যুরোর এক আধিকারিক তার হোটেলে উপস্থিত হন এবং যতক্ষণ না তিনি ফেরার টিকিট কিনছেন ততক্ষণ সেখানেই থাকেন। ওই পর্যটক জেন-মেট জোহানসন ফেসবুকে একথা লিখে জানান।
বিদেশিদের আঞ্চলিক নিবন্ধীকরণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওই পর্যটককে ভিসা বিধি লঙ্ঘন করার দায়ে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। ফেসবুকে ওই পর্যটক লেখেন, ‘আমাকে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে এখনই। অন্যথায় আমার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি এর ব্যাখ্যা চাই ও লিখিতভাবে তা দিতে বলি। আমাকে বলা হয়, আমি লিখিতভাবে কিছু পাব না।’
পরে ওই পর্যটক তার পোস্ট মুছে দেন। তিনি ওই পোস্টে আরও জানিয়েছিলেন, ‘ব্যুরোর এক আধিকারিক আমি ফ্লাইটের টিকিট না কেনা পর্যন্ত আমার সামনে থেকে যাননি। এখন আমি বিমান বন্দরে যাচ্ছি। এক বন্ধু দুবাইয়ের টিকিটের বন্দোবস্ত করে দিয়েছে। আমি সেখান থেকে সুইডেনের টিকিট পেয়ে যাব।’
কেরলের কোচিতে হওয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে তার সামিল হওয়ার ছবি ওই পর্যটক পোস্ট করেছিলেন। ফেসবুকে তিনি লিখে জানান, তিনি আর এই নিয়ে ফেসবুকে কিছু লিখবেন না। সকলকে তার পাশে থাকার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান। কিন্তু জানিয়ে দেন, এবার কিছুটা সময় তিনি ব্যক্তিগতভাবে কাটাতে চান। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, তিনি ঠিক আছেন। ক’দিন আগেই নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়ার কারণে আইআইটি মাদ্রাজের জার্মান পড়ুয়া জ্যাকব লিন্ডেনথালকেও দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে। এসব বিক্ষোভে-সহিংসতায় নিহত হয়েছে সারাদেশে অন্তত ২৬ জন। এর মধ্যে শুধু উত্তর প্রদেশেই নিহত হয়েছে ২১ জন। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি, সংবাদ প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।