Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানে ধর্মান্তরিত ফতেমাকে নিয়ে ভারতের নোংরা রাজনীতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:১৪ পিএম

ভালবেসেই প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছেড়েছিলেন পাকিস্তানের হিন্দু তরুণী মেহেক কেশওয়ানি। মুসলমান প্রেমিক মোহাম্মদ আসরকে বিয়ে করতে স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন ২২ কছরের সেই তরুণী। মুসলমান হিসেবে তিনি মেহেক ফাতিমা নাম গ্রহণ করেন। কিন্তু বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলের পক্ষে জনমত বাড়াতে এই ঘটনাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপণ করে ভারত। তাদের অভিযোগ, মেহেককে জোর করে ধর্মান্তর করা হয়েছে। এই নোংরা রাজনীতির কারণ, বিজেপি বোঝানোর চেষ্টা করছে যে মেহেকের মত পাকিস্তানের হিন্দু মেয়েদের বাঁচাতেই নতুন নাগরিকত্ব আইন করা হয়েছে। তবে আজ শুক্রবার এক ভিডিও পোস্টে মেহেক নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, স্বেচ্ছায়, ভালবেসেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন। কেই তাকে বাধ্য করেননি।

জানা গেছে, করাচির ‘ডিফেন্স হাউসিং এরিয়া’ বা সামরিক বাহিনীর এক্তিয়ারে থাকা এলাকা থেকেই দুই সপ্তাহে আগে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যান ওই তরুণী। ঘটনার কয়েকদিন পর প্রকাশ্যে আসে একটি ভিডিও ফুটেজ। হতবাক হয়ে তার পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান, কলেমা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন মেহেক। গত ১৩ ডিসেম্বর তরুণীর পরিবারের পুলিশের কাছে মেহেক নিখোঁজ বলে সাধারণ ডায়েরি করেন।

এ ঘটনা অতিরঞ্জিত করে প্রচার করে ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে, তাদেরকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। ইন্ডিয়া টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অপহরণ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হল এক হিন্দু তরুণীকে। মৌলবাদীদের ভয়ে হিন্দু মেহেক এখন মুসলিম ফতেমা। কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন ওই তরুণীর বাবা। তবে হিন্দু বলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি কেউ।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘প্রাণ ও ধর্ম বাঁচাতে অনেক পাক হিন্দুর কাছেই শেষ ভরসা ভারত। ফলে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, পড়শি ইসলামিক দেশের হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ।’

মেহেকের মামা শ্রী চাঁদ জানান, নিখোঁজ হওয়ার পর তারা অনেকবার ফোন করলেও মেহেক ফোন দরেননি। এজন্য তারা চিন্তিত ছিলেন। তিনি জানান, মেহেক ও মোহাম্মদ আসর একসাথেই পড়ালেখা করতেন। তারা একসাথেই নিখোঁজ হয়েছিলেন। আসরের সাথেও তার পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করার চেষ্টাও করেছিল তবে সেও ফোন ধরেনি।

এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় ফাতেমা জানান, তিনি ঘোটকি প্রদেশের দরগা ভরকুন্ডি শরীফ ভ্রমণ করেছিলেন, সেখানে পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ মিয়া জাভেদের কাছে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হন। তাকে অপহরণ বা জোর করে ধর্মান্তরের কোন চেষ্টাই করা হয়নি। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, ডেইলি হান্ট, ইয়েনি সাফাক।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ