পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবার আলু চাষ ও পুকুর খনন দেখতে সরকারের কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বিদেশ সফর যাচ্ছেন ওই দুই প্রকল্পের মোট ৫৬ জন কর্মকর্তা। সম্প্রতি এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর সমালোচনার ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দা ও প্রতিবাদ।
জানা যায়, বাংলাদেশ আলু উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম হলেও রপ্তানি করা যাচ্ছে না। এজন্য রপ্তানিযোগ্য আলুর উৎপাদন বাড়াতে বিদেশে এই চাষাবাদ পদ্ধতি দেখতে যাবেন কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ৪০ জন কর্মকর্তা। এজন্য মানসম্মত আলুবীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নেওয়া প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ হিসাবে জনপ্রতি বরাদ্দ সাড়ে ৭ লাখ টাকা।
অন্যদিকে, পুকুর পুনঃখনন প্রকল্পের ১৬ কর্মকর্তার বিদেশ সফরের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের ৩ মাস পর ৮ ডিসেম্বর প্রকল্পটির প্রশাসনিক অনুমোদন দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ‘পুকুর পুনঃখনন ও ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সেচে ব্যবহার’ প্রকল্পে এমন ঘটনা ঘটছে। এতে অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে দুই ব্যাচে ১৬ কর্মকর্তার বিদেশ সফরে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
এসবের সমালোচনা করে ফেইসবুকে নাছির উদ্দীন লিখেছেন, ‘‘৩ কোটি টাকা আলু চাষীদের মাঝে জিরো সুদে লোন দিন চাষিরাই কর্মকর্তাদের শিখিয়ে দিবে কিভাবে আলু চাষ করতে হয়।’’
মো. মিজান লিখেছেন, ‘‘কত্ত বড ভয়ংকর দুর্নীতিরে বাবা,,তিন কোটি টাকা খরচ করে তো গ্রামে এনে তাদের দিয়ে আলু চাষ করে শিখানোও যেত, লাববানও হওয়া যেত।’’
‘‘সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন বিদেশিরা এদেশে আসবে কিভাবে দুর্নীতি শিখতে হয় আর তেল ব্যবসা করতে হয় তার ট্রেনিং নিতে’’ উপহাস করে কথাগুলি লিখেছেন হেলাল খন্দকার।
সুলতানুল ইসলাম বাবু লিখেছেন, ‘‘মুন্সিগঞ্জ নিয়ে আলু ক্ষেতে বলদগুলোকে নামিয়ে দিলেই তো হতো। তা না করে, জনগণের করের টাকায় বিদেশ ভ্রমণ করিয়ে আমলাদের খুশি রাখার অন্যায় পন্থা।’’
মোহাম্মাদ রহিম লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ প্রবাসে এসে বিদেশিদের শাকসবজি চাষে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আর আমাদের দেশ থেকে সরকারি খরচে প্রশিক্ষণ নিতে আসছে, মেহনতি জনগণের টাকা কিভাবে খরচ করছে দেখুন!’’
‘‘প্রতিবছর আলুর বাম্পার ফলনে আলু নষ্ট হয় কোল্ড স্টোরেজের আভাবে। কর্মকর্তাদের বিদেশ না পাঠিয়ে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করুন আর সরকারি কর্মকর্তাদের চর্বি কমানোর ব্যাবস্থা করুন’’ মন্তব্য রিমোন জেইনের।
জয়নাল আবেদীন নিন্দা জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘টাকাগুলো তাদের বাপের মনে করে বিলাসবহুল পিকনিকের আয়োজন করেছেন। এদের বিনা নোটিশে দেশ থেকে বিতাড়িত করা উচিত।’’
রেজাউল করিম লিখেছেন, ‘‘যদি পুকুর খনন দেখতে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা লাগে, একবার চিন্তা করুন সেই পুকুরটা কাটতে কত টাকা লাগবে এই হায়েনাদের! নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে, সাধারণ মানুষের রক্তঝরা ঘামের টাকা নিয়ে, পুকুর খনন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের নামে বিদেশ সফর করে, শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা দুর্নীতিবাজদের স্বভাবে পরিণত হয়ে গেছে!’’
মোহাম্মাদ দুলাল মিয়া লিখেছেন, ‘‘পুকুর খনন, আলু চাষ, বেগুন-করলা চাষ শিখতে যেদেশের লোক বিদেশে যাই তারা নাকি চাঁন্দের দেশেও চলে যাবে ২০২২তে। পুকুর খনন না দেখে আমাদের এলাকার পাশেই নদী ভাঙ্গন দেখে যাইয়ো, কিছুটা হলেও শিক্ষা পাবে।’’
‘‘এতটাকা খরছ না করে এই ১৬ জন বলদকে আমার নিকট পাঠিয়ে দাও। আমি এক মাসের মধ্যে এদেরকে পুকুর খননের সব কিছু শিখিয়ে একটি বড় দীঘি সরকারকে উপহার দেব’’ লিখেছেন উত্তম কুমার দাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।