Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

সমালোচনার মুখে বিপিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৫ এএম

ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের সমালোচনা করেছেন বৃহস্পতিবার। দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, ‘‘নেতৃত্ব দেয়া হলো সকলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যখন আপনি এগোবেন সকলে অনুসরণ করবে। কিন্তু নেতা তারাই যারা মানুষকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। তারা নেতা নয়, যারা মানুষকে ভুল পথে চালিত করে। যেমনটা আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বিপুল সংখ্যক ছাত্রের ক্ষেত্রে লক্ষ করলাম। আমাদের শহর ও শহরতলিতে বিপুল বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়াতে দেখলাম জনতাকে। এটা নেতৃত্ব নয়।’’ ৩১ ডিসেম্বর অবসর নেবেন বিপিন রাওয়াত। এই প্রথম তিনি নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে হওয়া আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন। অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে পুলিশ ও প্রতিবাদীদের সংঘর্ষে। অধিকাংশই উত্তরপ্রদেশে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, ‘‘উত্তরপ্রদেশে যারা সহিংসতা ছড়াল তাদের আমি বলতে চাই বাড়িতে বসে নিজেদের প্রশ্ন করুক, তারা যা করল সেটা ভালো না খারাপ। তারা বাস ও জনসম্পত্তি, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, তা ধ্বংস করল।’’ কংগ্রেসের এক মুখপাত্র ব্রিজেশ কালাপ্পা টুইট করে জানান, ‘‘সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত সিএএ-র প্রতিবাদ নিয়ে কথা বলেছেন যা সাংবিধানিক গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। আজ যদি সেনাপ্রধানকে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলতে দেয়া হয়, তাহলে তা কাল তাকে সেনা দখলের অনুমতিও দিতে পারে।’’ হায়দরাবাদের এমপি ও এআইএমআইএম-এর প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসিও এই বিষয়টির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, নেতৃত্ব দেয়ার অর্থ নিজের দফতরের সীমাবদ্ধতা জানা। কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রধান হিসেবে তার গুরুত্ব ও অবস্থানও তার জানা উচিত বলে জানান ওয়াইসি। বিপিন রাওয়াতের অবসর গ্রহণের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাবানে পরবর্তী সেনাপ্রধান হচ্ছেন। এনডিটিভি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ