Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মেয়র প্রার্থী হলে ছাড়তে হবে এমপি পদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম | আপডেট : ১০:০২ এএম, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে হলে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে প্রার্থী হতে হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইনে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো দিক নির্দেশনা না থাকলেও স্থানীয় সরকার আইনে তা বলা আছে। ফলে সংসদ সদস্যরা মেয়র পদে নির্বাচন করতে চাইলে তাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে আগে পদত্যাগ করে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করেপোরেশন নির্বাচন মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ঢাকা-১০ আসনের এমপি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র এমপি হাজী সেলিম। ফলে আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে এই দুই সংসদ সদস্যকে মেয়র পদে নির্বাচন করতে হলে তাদের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, মেয়র পদে নির্বাচন করতে হলে যিনি বর্তমানে মেয়র রয়েছেন তাকেও পদত্যাগ করে নির্বাচন করতে হবে। আবার কোনো সংসদ সদস্য যদি মেয়র পদে নির্বাচন করতে চাইলে তাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্যকে পদত্যাগ করার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের আইনে নয় বরং সিটি করপোরেশন আইনে বলা আছে। অর্থাৎ কোনো সংসদ সদস্যকে সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ইলেকশন করতে হলে তাকে এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করেই নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া আর কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে গত ২৩ ডিসেম্বর মেয়র পদে নির্বাচন করার ক্ষেতে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা সম্পর্কিত একটি বিশেষ পরিপত্র জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে হলে বর্তমান মেয়রদের পদত্যাগ করে প্রার্থী হতে হবে। আর এটি মনোনয়নপত্র দাখিলের আগেই করতে হবে। তবে সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলররা নিজেদের পদে থেকেই প্রার্থী হতে পারবেন। তবে পবিপত্রে সংসদ সদস্য নির্বাচন করতে পারবে কি না এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

সোমবার জারি করা বিশেষ পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ হওয়ায় এর মেয়র পদটিকে হাইকোর্ট লাভজনক পদ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কাজেই ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯’ অনুযায়ী, মেয়র পদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এছাড়া বিশেষ পরিপত্রে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য কোনো প্রার্থী ফৌজদারি বা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ন্যুনতম দুই বছর কারাদ-ে দ-িত হলে সাজাভোগ শেষে পাঁচ বছর সময় পর্যন্ত নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

উল্লেখ্য চলতি মাসের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩১ ডিসেম্বর। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থীরা ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জানুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ হবে ৩০ জানুয়ারি।

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেয়র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ