মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উইঘুর মুসলিম নারীদের ওপর নতুন ধাঁচের নির্যাতন শুরু করেছে চীন সরকার। ‘জোড়াবদ্ধ ও পরিবার হওয়া’ কর্মস‚চির আওতায় শিনজিয়াংয়ে উইঘুর নারীদের সঙ্গে রাত কাটাতে তাদের বাড়িতেই পাঠানো হচ্ছে চীনা হান স¤প্রদায়ের পুরুষদের। হান পুরুষদের সঙ্গে যেসব নারীদের রাত কাটাতে বাধ্য করা হচ্ছে, তাদের অধিকাংশের স্বামীই চীনের বন্দিশিবিরে আটক রয়েছে। ২০১৭ সালে এই কর্মস‚চি চালু করা হয়। স¤প্রতি রেডিও ফ্রি এশিয়া অজ্ঞাতনামা দুই চীনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। পরিস্থিতি এতোটাই ভয়ঙ্কর যে, একই বিছানায় একাধিক পুরুষের সঙ্গে ঘুমাতে বাধ্য হচ্ছে উইঘুর নারীরা। এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সাধারণত একটি বিছানায় এক জন কিংবা দুজন ঘুমায়। তবে তাপমাত্রা যদি বেশি শীতল হয় তাহলে সেখানে তিন জনও ঘুমায়। সঙ্গী পুরুষের স্বজনের সঙ্গে একই বিছানায় নারীদের ঘুমানো এখন স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়’। ‘স্বজন’ বলতে সেইসব পুরুষদের বোঝানো হয় যারা ওই নারীর পরিবারের সদস্য নয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চীনা পুরুষরা উইঘুরদের বাড়িতে একটানা ছয় দিন অবস্থান করে। তারা ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করে এবং তাদের খাওয়াদাওয়াটাও হয় একসঙ্গে। এই সময় তারা কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শ নিয়ে আলোচনা করে। আরেক চীনা কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা ওই পরিবারটিকে মতাদর্শ দিয়ে সাহায্য করে, তাদেরকে নতুন চিন্তাচেতনায় নিয়ে আসা হয়। তারা জীবন নিয়ে কথা বলে। আর এই সময়ে তারা একে অন্যের প্রতি অনুভ‚তি জাগ্রত করার চেষ্টা করে’। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত উইঘুর মুসলিম রুশান আব্বাস একটি অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি উইঘুর নারীদের পদ্ধতিগত ধর্ষণ’। তিনি বলেন, ‘এটা গর্ণধর্ষণ। উইঘুর নারীদের বিয়ের জন্য সরকার হান পুরুষদের অর্থ,বাড়ি ও চাকরি দিচ্ছে’। রুশান জানান, এই ধরনের পুরুষদের প্রত্যাখ্যান করা অনেক সময় দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে উইঘুর নারীদের জন্য। কারণ প্রত্যাখ্যান করা হলে তাদেরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হবে। তিনি বলেন,‘মেয়ে অথবা তার পরিবারের সদস্যরা এ ধরনের বিয়ে প্রত্যাখ্যান করতে পারে না। কারণ নাস্তিক হান চীনাদের প্রত্যাখ্যান করা হলে তাদেরকে ইসলামি চরমপন্থি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বছরের পর বছর ধরে বিয়ের নামে উইঘুর নারীদের ধর্ষণ করে যাচ্ছে চীনারা’। মানবাধিকার সংস্থাগুলির হিসেবে শিনজিয়াংয়ে চীনের বন্দিশিবিরে আটক রাখা হয়েছে ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলমানকে। তথাকথিত এই ‘পুনঃশিক্ষা শিবিরে’ প্রহার, ধর্ষণসহ সব ধরনের নির্যাতন চলে বলেও দাবি তাদের। রেডিও ফ্রি এশিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।