বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের হাতে ছাত্র হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ছাত্রের নাম হচ্ছে মোঃ ইয়ামিন(৮)। এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের খেজুরবাগ এলাকায় মদিনাতুল উলুম সিদ্দিকীয়া নুরজাহানীয়া মাদ্রাসায়। নিহত ইয়ামিন ওই মাদ্রাসার আলীয়া বিভাগে প্লেগ্রুপের দ্বিতীয় শাখার ছাত্র।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে সকাল সাড়ে ১০টায় ইয়ামিনের সাথে ও তার এক সহপাঠির ঝগড়া বাধে। এসময় মাদ্রাসার শিক্ষিকা তামান্না আক্তর ওই দুই ছাত্রকে চড়থাপ্পর দিয়ে ঝগড়া থামানোর ষ্টো করেন। এসময় ইয়ামিনের গলায় ও কানের নিচে শিক্ষিকার চড়থাপ্পর ও হাতের নখের আচরে রক্তাক্ত হয়।ইয়ামিন বাড়িতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে গত সোমবার তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার(২৪ডিসেম্বর) রাতে ইয়ামিন মারা যায়। মাদ্রাসার কওমী বিভাগের শিক্ষক ফজলে রাব্বি জানান,ইয়ামিনের সাথে তার সহপাঠি এক ছাত্রের ঝগড়া করার সময় স্বাভাবিক নিয়মেই শিক্ষিকা তামান্না উভয় ছাত্রকে সামান্য চড়থাপ্পর দিয়ে ঝগড়া মিমাংসা করে দেন। এসময় ইয়ামিনকে ঝগড়ারত অপর ছাত্র লাথি মারে ও তার গলা চিপে ধরে। এতে সোমবার(২৩ডিসেম্বর) ইয়ামিন তাদের বাড়িতে পেটের ব্যাথায় অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতি মাসউদুর রহমান হাসপাতালে গিয়ে ইয়ামিনের খোঁজখবর নিয়েছেন। তবে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতি মাসউদুর রহমানকে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কোন ফোন রিসিভ করেননি। আজ বুধবার(২৫ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও অভিযুক্ত শিক্ষক তামান্নাকে পাওয়া যায়নি। নিহত ইয়ামিনের বাবার নাম মোঃ আশরাফ ফকির। তারা মাদ্রাসার পাশেই নাহিদ ডাক্তারের বাড়িতে ভাড়া থাকে। তাদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সুতারকান্দি বাজিতুর গ্রামে। নিহতের বাবা আশরাফ ফকির জানান, আমি এই ঘটনায় থানায় মামলা করব।এব্যাপারে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ শাহজামান জানান, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। এবিষয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।