পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। এতে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনসহ ৩৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে ঢাকসুর সমাজ সেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের মাধ্যমে মামলা দায়ের করেন ভিপি নুরুল হক নুর।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান র বলেন, ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে নুর মামলা দায়ের করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে ওই অতর্কিত হামলায় প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দেন সনজিত চন্দ্র দাস ও সাদ্দাম হোসাইন। এ বিষয়ে ঢাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, এই মামলায় নুর নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় আমি তার পক্ষ হয়ে মামলার অভিযোগ পত্রটি থানায় জমা দিয়েছি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সময় আনুমানিক দুপুর ১২ টায়, আমি, আমার সংগঠনের সদস্যরা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমার কক্ষে অবস্থান করি। হঠাৎ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আমার কক্ষে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে লাঠি সোটা নিয়ে হামলা করে চলে যায়। তারা আবারও যাতে হামলা করতে না পারে, তাই ডাকসু কর্মচারীদের সহায়তায় ডাকসুর মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু›র এজিএস সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ডাকসু কর্মচারীদের সরিয়ে মূল ফটকের তালা খুলে আমার কক্ষে প্রবেশ করে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় দফা হামলা চালায়। তারা আমার কক্ষের বাতি নিভিয়ে দিয়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র সহকারে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় আমার ডান হাত এবং ডান পাঁজর মারাত্মকভাবে জখম হয়। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের ১৫ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়ে ফারাবী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন। অন্যান্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই অতর্কিত হামলায় প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দেন সনজিত চন্দ্র দাস ও সাদ্দাম হোসাইন।
আসামীরা হলেন- (১) সনজিত চন্দ্র দাস, সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ (২) সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ (৩) আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ (৪) আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ , (৫) সনেট মাহমুদ, সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাবি (৬) ইয়াসির আরাফাত তুর্য, সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাবি (৭) মারিয়াম জাহান খান, ভিপি, সূর্যসেন হল সংসদ (৮) শেখ মুহাম্মদ তানিন, সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাবি ছাত্রলীগ, (৯) আব্দুর আলীম খান, ভিপি, এ.এফ. রহমান হল সংসদ, (১০) আবু ইউনুস, এজিএস, বিজয় একাত্তর হল সংসদ (১১) রাকিবুল হাসান ঐতিহ্য, সদস্য, ডাকসু (১২) মাহমুদুর হাসান, সদস্য, ডাকসু (১৩) সাদ বিন কাদের চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, ডাকসু, (১৪) রবিউল হােসেন রানা, সহ-সভাপতি, ঢাবি ছাত্রলীগ,(১৫) নিয়ামত উল্লাহ তপন, শিক্ষাবিষয়ক উপ-সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ (১৬) হাসিবুল হাসান শান্ত, জিএস, জিয়া হল সংসদ (১৭) সিফাতুজ্জামান খান, ক্রীড়া সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ (১৮) মিজানুর রহমান মিজান, জিএস, মহসীন হল সংসদ (১৯) ফেরদৌস আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ (২০) আব্দুর রহিম সরকার, জিএস, এ.এফ রহমান হল সংসদ (২১) তানজিল ইমরান তালাশ, সাহিত্য সম্পাদক, এ.এফ রহমান হল সংসদ, (২২) মাহমুদুল হাসান বাবু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, ঢাবি ছাত্রলীগ (২৩) সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক, জিয়া হল ছাত্রলীগ, (২৪) মামুন বিন সাত্ত¡ার, সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ (২৫) ইবনুল হাসান উজ্জ্বল(২৬) খাজাখায়ের সুজন
এছাড়া উপ-স্কুল বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, (২৭) খান মিলন হােসেন নীরব, এস.এম. হল ছাত্রলীগ, (২৮) ইমরান আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কবি জসীমউদ্দিন হল ছাত্রলীগ, (২৯) হৃদয় হাসান সাহাগ, গণশিক্ষা সম্পাদক, ঢাবি ছাত্রলীগ, (৩০) উজ্জ্বল, চারুকলা ছাত্রলীগ (৩১) আরিফুল ইসলাম (৩২) ফাতিমা রিপা, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ (৩৩) আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ (জামাল গ্রæপ) (৩৪) আইনুল ইসলাম মাহবুব,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, (৩৫) মেহেদী হাসান নিবিড় (৩৬) মেহেদী হাসান শান্ত, জিএস,বঙ্গবন্ধু হল সংসদ (৩৭) জীবন রায়, সহ সভাপতি, ঢাবি ছাত্রলীগসহ ছাএলীগের অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জন নেতাকর্মী এই হামলায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।