পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মহাসড়কের ১৬ টনের বেশি ওজনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে না এমন নীতিমালা থাকলেও ২২ টনের বেশি মালামাল নিয়ে গাড়ি চলাচল করে। ফলে মহাসড়ক গুলোর স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে। নিয়মিত সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করতে সরকারের ব্যয় হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। তাই পরিবহন নীতিমালা অনুযায়ী আগামী ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে মহাসড়কে ওভারলোড গাড়ি রাস্তায় চলতে দেয়া হবে না। দুই বছরের মধ্যে সড়কে ওভারলোড গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে আসবেজাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত শুনানি।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও-এ সড়ক ভবনে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীর সভাকক্ষে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত শুনানিতে এসব বিষয় আলোচনা হয়।
গণশুনানিতে ওভারলোড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের ইঞ্জিনিয়ার আমান উল্লাহ বলেন, পরিবহন নেতাদের ও মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ফলে রাস্তায় ১৬ টন থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ২২ টন মালামাল বহন করতে পারবে এমনভাবে বলা হয়েছে। তবে এটি সাময়িক সময়ের জন্য। এটা বৈজ্ঞানিক কোনও উপায়ে হয়নি। পরিবহন নেতাদের একটা চাপ ছিল সব মিলিয়ে তাদের এই বিষয়টি মানা হয়েছিলো। তবে আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে পরিবহন নীতিমালা অনুযায়ী মহাসড়কগুলোতে ওভারলোড বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এই ওভারলোড শুধু মাত্র ঢাকা চিটাগাং রোডেই বেশি হয়। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ২২ টনের উপরে বেশি মালামাল মহাসড়ক পরিবহন করলে জরিমানা দিয়ে আনতে হচ্ছে। তবে এই জরিমানা দিয়ে ওভারলোড করলেও ক্ষতি হচ্ছে রাস্তার।
তাছাড়া গণশুনানিতে আরো অনেক বিষয় উঠে আসে, প্রধানমন্ত্রী চার লেনের মহাসড়ক টোল আদায়ের বিষয়ে নির্দেশ দিলেও তা এখনও বাস্তবায়ন করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছে, কোন সড়কে কি পরিমাণ টোল আদায় করা হবে তার একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে এবং সেটি মন্ত্রণালয়ে খুব শিগগিরই জমা দেওয়া হবে। তাছাড়া পরিকল্পনা, কাজের সমন্বয়হীনতা, প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতা, সড়কের কাজ করা ঠিকাদারদের দীর্ঘদিনের বিল বকেয়ার মতো বিষয়গুলো গণশুনানিতে উঠে আসে। গণশুনানিতে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।