পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বে প্রতিবছর বজ্রপাতে প্রায় ২ থেকে ২৪ হাজার লোক মারা যায় এবং প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার লোক আহত হয়। পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০০ বার বজ্রপাত হয় অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ৮০ লাখবার বজ্রপাত হয়। ৯ বছরে বজ্রপাতে এক হাজার ৯৫৮জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে এক গোলটেবিল আলোচনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। রাজধানীর গুলশানের স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে বজ্রপাতে ঝুঁকি নিরসন ও করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্র্যাক হিউম্যানেটেরিয়ান প্রোগ্রাম।
এনামুর রহমান বলেন, বজ্রপাতের প্রভাব হ্রাসে দেশব্যাপী তালগাছের চারা রোপন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮ লাখ তালগাছের চারা রোপন করা হয়েছে। এ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। দুর্যোগ-বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলিতেও (এসওডি) বজ্রপাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ¡াস ও ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগগুলো মোকাবিলা করা গেলেও বজ্রপাতের মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করার মতো দেশে এখনো পর্যন্ত ভালো কোনো পথ নেই। দেখা যাচ্ছে, বন্যা ও সাইক্লোনের চেয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার বেশি। বজ্রপাতের মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করতে আমরা এখনো সচেতনতামূলক কার্যক্রম এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছি। এসব দুর্যোগসহ আবহাওয়ার সামগ্রিক বিষয়ে বার্তা পাঠাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। এ দুর্যোগে মৃত্যুহার কমাতে প্রয়োজনয়ী ব্যবস্থা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য খুব শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় ভেনিজুয়েলার মারাকাইবো লেকে যা গড়ে বছরে ৩০০ দিন। যাকে পৃথিবীর বজ্রপাতের রাজধানী বলা হয়। এক হিসাবে দেখা যায় ২০১১-২০১৮ সালে দেশে বজ্রপাতে কমপক্ষে ১৯৫৮ জন মানুষ নিহত হয়। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে মাত্র ৪ দিনে বজ্রপাতে ৮১ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বাংলাদেশে বজ্রপাতে বিভিন্ন সময়ে মানুষের প্রাণহানি ঘটলেও অল্প সময়ে এত বেশি লোক কখনো মারা যায়নি। ২০১৮ সালে নিহত হয় ৩৫৯ জন মানুষ। বাংলাদেশ সরকার ২০১৫ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বৈঠকে বক্তারা বলেন, নতুন এক দুর্যোগের নাম বজ্রপাত। অন্যান্য দুর্যোগের পাশাপাশি সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাতে সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসেবে ২০১৫ সালে বজ্রপাতে ২১৯ জন এবং ২০১৬ সালে ৩৮০ জন মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশ সরকার ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে নতুন দুর্যোগ হিসেবে আওতাভুক্ত করেন। এর পরই কেবল বজ্রপাতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নামসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহে রাখা হচ্ছে। বজ্রপাত ঠেকাতে সুনামগঞ্জ জেলায় ৯টি প্রতিষ্ঠানে ১৫টি বজ্রপাত নিরোধক দন্ড স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েক লক্ষাধিক তাল গাছ রোপন করা হলেও সেগুলো বজ্রপাত নিরোধক হিসেবে তেমন ভূমিকা পালন করছে।
মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মহসিন, ব্র্যাক হিউম্যানিটেরিয়ান প্রোগ্রামের পরিচালক সাজিদুল হাসান, ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের রিসার্চ ফেলো ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল ইসলাম,বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার এন্ড ফ্লাড মডেলিং এর অধ্যাপক ড.এ কে এম সাইফুল ইসলাম এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. আব্দুল মান্নান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।