পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতে থাকা বাংলাদেশিরা চাইলে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোওয়াল বলেন, বাংলাদেশ থেকে আর কেউ আসামে ঢুকতে পারবে না’। বিষয়টি উল্লেখ করে, সেখানকার বাংলাদেশিরা দেশে ফিরতে চাইলে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তারা চাইলে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এ সময় তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বিএনপির অত্যাচারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০০১ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলা হয়েছিল, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের বর্বরতাকেও তা হার মানিয়েছে। সেই সময় অনেকেই জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষায় দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন।
এ সময় এই বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এক মন্তব্যের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। বিএনপির সময়ই সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নুর ভিন্নমতাবলম্বী হলেও তার ওপর হামলা নিন্দনীয়। ভিন্নমতাবলম্বী হলেও কারও ওপর হামলা করা বৈধতা পায় না। তিনি বলেন, ডাকসু ভিপির সঙ্গে ভিন্নমত থাকতেই পারে। তবে তার ওপর হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন, ছাত্রলীগের কেউ হলেও ছাড় দেয়া হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রোববার ডাকসুতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। এ ধরনের নিন্দনীয় ঘটনা যারা ঘটায়, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা উচিত। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অভিযোগ, ডাকসু ভিপি নুরসহ তার অনুসারীদের ওপর হামলা করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগ। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কে কোন সংগঠন করে, সেটি বিবেচ্য নয়। আমরা অপকর্মকারীকে অপকর্মকারী হিসেবেই দেখব, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখব এবং দুর্বৃত্তকে দুর্বৃত্ত হিসেবে দেখব। যারা এগুলো করবে, তারা কেউ ছাড় পাবে না। আর গোলাম রাব্বানী ছাত্রলীগের কেউ নয়।
অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অপরাধীদের কখনও ছাড় দেয় না। সরকারের ঘরের লোকদেরও কিন্তু রেহাই দেয়া হয়নি। সোনাগাজীতে (মাদ্রাসাশিক্ষার্থী নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা) কিংবা আবরারের (বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারকে পিটিয়ে হত্যা) ঘটনা কিংবা রাজশাহীতে (রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট) অধ্যক্ষকে অপদস্থ যারা করেছিল, তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের যারা ছিল তাদের কেউ কিন্তু ছাড় পায়নি।
আওয়ামী লীগে ঢুকে অনুপ্রবেশকারীরা অপরাধ করছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, দলে অনুপ্রবেশকারী আছে, অবাঞ্ছিত ব্যক্তিরা ঢুকে পড়ে। তবে আমরা বিষয়গুলো খুব সিরিয়াসলি দেখছি। কে আওয়ামী লীগ, কে ছাত্রলীগ কিছুই দেখা হবে না। অপরাধীকে শাস্তি পেতে হবে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।