Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কনজ্যুমার ইউথ-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ এবং ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণসচেতনতা সৃষ্টিতে এগিয়ে এসেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এ মহতী উদ্যোগের প্রশংসা করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষকবৃন্দ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর এক গবেষণা অনুযায়ী প্রতিবছর বাংলাদেশের ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এরমধ্যে মারা যান ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। প্রতিদিনই বাড়ছে এর সংখ্যা। বর্তমানে দেশে ৭ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ বিভিন্ন রকম ক্যান্সারের ব্যাধিতে মারা যায়। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে এর হার ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। দেশে মোট ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ। কিডনি রোগীর সংখ্যাও ৫ লক্ষের বেশি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিল্পায়ন আর ভেজাল খাদ্য খাওয়ার কারণেই এই রোগ বাড়ছে। এসব রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে জরুরি জনসচেতনতা। ভেজাল প্রতিরোধে সমাজকর্মী ও গণমাধ্যমেরও দায়িত্ব রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
এই দায়িত্ববোধ থেকেই খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম, গবেষণা, ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ‘কনজ্যুমার ইউথ-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ (সিওয়াই-জেএনইউ)-এর ব্যানারে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল শিক্ষার্থী। সংগঠনটির কার্যক্রমে কেন্দ্রীয় সহযোগিতার পাশাপাশি সর্বাত্মক নির্দেশনা দিচ্ছেন শাখা সংগঠনটির উপদেষ্টাবৃন্দ জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, লোক প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আসমা বিন্তে ইকবাল এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুসালেহ সেকেন্দার।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন ‘কনজ্যুমার ইউথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি)-এর শাখা সংগঠন হিসেবে ‘কনজ্যুমার ইউথ-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ (সিওয়াই-জেএনইউ)-এর যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ১৩ মার্চ। জবিসাসের সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেকের সঞ্চালনায় জবিসাসের কনফারেন্স হলে আশিকুর রহমান-কে সভাপতি এবং ঝুমুর বিশ্বাস-কে সম্পাদক করে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন।
সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য সব সংগঠন থাকবে আর ভেজালের বিরুদ্ধে কোন সংগঠন থাকবে না এটা বেমানান। বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব রাখার জন্য ক্যাম্পাসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন আর কেউ প্রকাশ্যে সিগারেট পান করতে পারেন না। এভাবে আমরা সারা দেশকেই দূষণ ও ভেজালমুক্ত দেখতে চাই। এ জন্য ‘কনজ্যুমার ইউথ-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
ষ আশিকুর রহমান



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কনজ্যুমার ইউথ-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ